আফগানিস্তান, ইরাক থেকে আরও সেনা ফিরিয়ে নিতে যাচ্ছে আমেরিকা

US troops in Afghanistan
আফগানিস্তানে মার্কিন সেনা। ছবি: রয়টার্স ফাইল ফটো

আফগানিস্তান ও ইরাক থেকে আরও সেনা প্রত্যাহার করতে যাচ্ছে আমেরিকা।

প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের বরাতে মার্কিন গণমাধ্যমগুলো এ তথ্য জানিয়েছে।

সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে আফগানিস্তানে মোতায়েন করা পাঁচ হাজার মার্কিন সেনার মধ্যে আগামী জানুয়ারিতে আড়াই হাজার সেনা ফিরিয়ে আনা হবে। ইরাকে বর্তমানে তিন হাজার সেনা রয়েছে। সেখানে সেনা সংখ্যা আড়াই হাজারে কমিয়ে আনা হতে পারে।

এর আগে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, আসন্ন বড়দিনের আগেই সব মার্কিন সেনাকে ফিরিয়ে আনতে চান তিনি।

বিবিসি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত জো বাইডেন ক্ষমতায় আসার আগে আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যেই ট্রাম্প প্রশাসনকে সেনা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।

গত ৩ নভেম্বর নির্বাচনে প্রাথমিক গণনায় জো বাইডেন বিজয়ী হলেও ট্রাম্প নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে তা গ্রহণ করেননি।

এদিকে, ট্রাম্পের সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত তার রিপাবলিকান দলের সদস্যদের মধ্যে সমালোচনা সৃষ্টি করেছে। সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা মিচ ম্যাককোনেল জানিয়েছেন, এমন সিদ্ধান্ত জঙ্গিদের সুযোগ করে দেবে।

এর আগেও বিভিন্ন দেশে সেনা মোতায়েনের বিরোধিতা করেছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। বিভিন্ন দেশে সামরিক বাহিনীর হস্তক্ষেপকে খুবই ব্যয়বহুল ও অকার্যকর বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি।

কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এপি জানিয়েছে, ইরাক ও আফগানিস্তান থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনার কথা ইতোমধ্যেই সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে একটি নির্বাহী আদেশ তৈরি করা হচ্ছে, তবে সেটি এখনও কমান্ডারদের কাছে পাঠানো হয়নি।

তালেবানদের সঙ্গে শান্তিচুক্তির অংশ হিসেবে চলতি বছরের শুরুতে আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। গত সেপ্টেম্বরে ইরাক থেকে এক-তৃতীয়াংশের বেশি সেনা প্রত্যাহারের কথা জানিয়েছিল পেন্টাগন।

Comments

The Daily Star  | English
price hike of essential commodities in Bangladesh

Essential commodities: Price spiral hits fixed-income families hard

Supply chain experts and consumer rights activists blame the absence of consistent market monitoring, dwindling supply of winter vegetables, and the end of VAT exemptions granted during Ramadan.

15h ago