সবজি চাষ-হাঁস পালনে সাবলম্বী কলাপাড়ার ৩৬০ পরিবার

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার পুনামাপাড়া গ্রামে সালমা বেগমের আঙ্গিনায় ঝুলছে বড় আকারের আটটি চাল কুমড়া। একেকটির ওজন অন্তত পাঁচ কেজি। কুমড়া ছাড়াও আছে অন্য সবজি। গত আড়াই মাসে সবজি বিক্রি করে সালমা প্রায় ১০ হাজার টাকা আয় করেছেন। রাসায়নিক সারের পরিবর্তে বাড়িতে তৈরি জৈব সার ব্যবহার করায় সালমার সবজির কদর বেশি। ক্রেতারা বাড়িতে এসে সবজি নিয়ে যান।
Salma_Begum_19Nov20.jpg
সালমা বেগম | ছবি: স্টার

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার পুনামাপাড়া গ্রামে সালমা বেগমের আঙ্গিনায় ঝুলছে বড় আকারের আটটি চাল কুমড়া। একেকটির ওজন অন্তত পাঁচ কেজি। কুমড়া ছাড়াও আছে অন্য সবজি। গত আড়াই মাসে সবজি বিক্রি করে সালমা প্রায় ১০ হাজার টাকা আয় করেছেন। রাসায়নিক সারের পরিবর্তে বাড়িতে তৈরি জৈব সার ব্যবহার করায় সালমার সবজির কদর বেশি। ক্রেতারা বাড়িতে এসে সবজি নিয়ে যান।

সালমার স্বামী শহীদুল ইসলাম পেশায় দিনমজুর। স্বল্প আয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হতো সালমাকে। তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আগে আমি সংসারে বাড়তি কোনো কাজ করতাম না। সবজি চাষ শুরু করার পর থেকে উপার্জন করতে পারছি। হাঁসের ডিম বিক্রি করে আমি দুটি ছাগল কিনেছি।

সালমার প্রতিবেশী হনুফা বেগমও নানা ধরনের শাক-সবজি চাষ করছেন। তার খামারে রয়েছে ৪০টি দেশি হাঁস। তিনিও হাঁসের ডিম বিক্রি করে সাতটি ছাগল কিনেছেন। চার ছেলে, স্বামীসহ নয় সদস্যের সংসারে ফিরেছে স্বচ্ছলতা।

Salma_fertilizer_19Nov20.jpg
বাড়িতেই তৈরি করা হচ্ছে জৈব সার | ছবি: স্টার

লবণাক্ত জমিতে সবজি হয় না এমন ধারণা থেকে এতদিন কেউ চাষাবাদের চেষ্টা করেননি। সম্প্রতি ফ্রেন্ডশিপ নামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন লতাচপলী, ধুলাসার, লালুয়া, টিয়াখালী ও চাকামইয়ার ৩৬০টি পরিবারের সদস্যদের বাড়ির আঙিনায় সবজি চাষ, হাঁস-ছাগল পালন, জৈব সার তৈরির প্রশিক্ষণ দেয়।

ফ্রেন্ডশিপের প্রকল্প ব্যবস্থাপক জুয়েল হাসান বলেন, ‘অ্যাসিসট্যান্স ফর সাসটেইনেবল ডেভেলোপমেন্ট প্রজেক্টের আওতায় প্রশিক্ষণ শেষে এসব পরিবারের সদস্যদের ১২টি করে হাঁস, প্রয়োজনীয় সবজির বীজ সরবরাহ করা হয়। বীজ সংরক্ষণের জন্য প্রত্যেককে প্লাস্টিকের পাত্র দেওয়া হয়েছে।’

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

8h ago