বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে সব ধরনের আইনি ব্যবস্থা: থাই প্রধানমন্ত্রী

থাই প্রধানমন্ত্রী প্রয়ূথ চান-ওচা। ফাইল ফটো রয়টার্স

থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ ও রাজা মাহা ভাজিরালংকর্ণর ক্ষমতা কমানোর দাবিতে  আন্দোলনরতদের বিরুদ্ধে সব ধরনের আইন ব্যবহার করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন থাই প্রধানমন্ত্রী প্রয়ূথ চান-ওচা।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, থাইল্যান্ডে রাজা বা রাজ পরিবারের বিরুদ্ধাচরণ গুরুতর অপরাধ বলে বিবেচিত হয়। রাজার সমালোচনা করলে কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে দেশটিতে। রাজতন্ত্রের সমালোচনায় ১৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।

প্রধানমন্ত্রীর হুমকিতে উদ্বেগ জানিয়েছেন মানবাধিকার কর্মীরা।

জুলাই থেকে শুরু হওয়া থাইল্যান্ডে রাজতন্ত্রবিরোধী বিক্ষোভে বুধবার কয়েক হাজার আন্দোলনকারী থাই পুলিশ সদর দপ্তরে রং ছুড়ে মারে। পুলিশের ছোড়া জল কামান ও টিয়ারগ্যাসের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়ায় এটি করা হয়েছে বলে দাবি করেন তারা। কয়েকজন প্রতিবাদকারী বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় রাজতন্ত্রবিরোধী গ্রাফিতিও আঁকেন।

এর এক দিন পরই প্রধানমন্ত্রী এমন ঘোষণা দিলেন।

আজ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে না। আরও সহিংসতা বাড়ার ঝুঁকি আছে। যদি এই বিশৃঙ্খলাকে চিহ্নিত না করা হয় তবে এটি দেশ ও রাজতন্ত্রের ক্ষতি করতে পারে। সরকার একে থামাতে কঠোর ব্যবস্থা নেবে এবং আইন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সব আইন ব্যবহার করবে।’

তবে বিবৃতিতে ফৌজদারী কোডের ১১২ অনুচ্ছেদ অন্তর্ভুক্ত করা হবে কিনা এ নিয়ে কিছু বলা হয়নি। ফৌজদারী কোডের ১১২ অনুচ্ছেদ রাজতন্ত্রের অপমানকে নিষিদ্ধ করে।

প্রয়ূথ এই বছরের শুরুর দিকে বলেছিলেন, রাজার অনুরোধে এই আইনটি আপাতত ব্যবহার করা হচ্ছে না।

এখন পর্যন্ত বিক্ষোভ নিয়ে থাই রয়্যাল প্যালেস কোনও মন্তব্য করেনি। তবে, সম্প্রতি রাজা থাইল্যান্ডকে একটি ‘আপোসের দেশ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

প্রতিবাদকারীরা এই মন্তব্যেরও সমালোচনা করেন।

থাইল্যান্ডে আন্দোলন কর্মী তানাওয়াত ওয়াংচাই টুইটে বলেন, ‘হতে পারে, তারা প্রতিবাদী নেতাদের গ্রেপ্তার করতে ১১২ অনুচ্ছেদ ব্যবহার করবে। এই তাহলে আপোসের উদাহরণ?’

বুধবারের বিক্ষোভে রাজতন্ত্রবিরোধী গ্রাফিতির বিরুদ্ধে কয়েকজন রাজকর্মী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ১১২ অনুচ্ছেদ প্রয়োগের আহ্বান জানান।

থাইল্যান্ডে সম্প্রতি বেশ কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় নেতাকর্মীসহ অনেক বিক্ষোভকারীকে বিভিন্ন অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

প্রতিবাদকারীরা জানিয়েছেন, আগামী সপ্তাহজুড়েও বিক্ষোভ সমাবেশ চলবে।

Comments

The Daily Star  | English

Lives on hold: Workers await reopening of closed jute mills

Five years on: Jute mill revival uneven, workers face deepening poverty

16h ago