ফরিদপুরে অর্থপাচার মামলায় এবার গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ নেতা জলিল

ফরিদপুরের আলোচিত দুই ভাই সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও ইমতিয়াজ হাসান রুবেলের বিরুদ্ধে দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় এবার গ্রেপ্তার হলেন আওয়ামী লীগ নেতা ও পৌরসভার কাউন্সিলর শেখ মো. জলিল।
শেখ মো. জলিল। ছবি: সংগৃহীত

ফরিদপুরের আলোচিত দুই ভাই সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও ইমতিয়াজ হাসান রুবেলের বিরুদ্ধে দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় এবার গ্রেপ্তার হলেন আওয়ামী লীগ নেতা ও পৌরসভার কাউন্সিলর শেখ মো. জলিল।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ফরিদপুর শহরের রেল স্টেশন বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে কোতয়ালী থানার পুলিশ।

জলিল শহরের লক্ষ্মীপুর মহল্লার মৃত শেখ মো. আলাউদ্দিনের ছেলে। তিনি ফরিদপুর পৌরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ড (সাবেক সাত) আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সাত নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। আগামী ১০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ফরিদপুর পৌরসভার নির্বাচনে ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তিনি।

গ্রেপ্তারের কথা নিশ্চিত করে কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদ আলম বলেন, বরকত-রুবেল এর নামে দায়ের করা অর্থপাচার মামলায় ঢাকা থেকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) চাহিদা অনুযায়ী জলিলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলেই জলিলকে জেলার মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ২৬ জুন সিআইডির পরিদর্শক এস এম মিরাজ আল মাহমুদ বাদী হয়ে অর্থ পাচারের অভিযোগে ঢাকার কাফরুল থানায় বরকত ও রুবেলের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় দুই ভায়ের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে দুই হাজার কোটি টাকা উপার্জন ও পাচারের অভিযোগ আনা হয়। মামলাটি তদন্ত করছেন সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার উত্তম কুমার বিশ্বাস।

উত্তম কুমার বিশ্বাস বলেন, বরকত ও রুবলেসহ মামলায় এ পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ফরিদপুরে শেখ মো. জলিলকে গ্রেপ্তার করেছে কোতয়ালী থানা পুলিশ। তাকে আগামী রোববার ঢাকা মেট্রপলিটার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ‘শ্যোন এরেস্ট’ দেখানো হবে। জলিলকে নিয়ে এ মামলায় গ্রেপ্তারের সংখ্যা হবে ১১।

ফরিদপুরের আলোচিত দুই ভাই সাজ্জাদ হোসেন বরকত ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সধারণ সম্পাদক এবং তার ভাই ইমতিয়াজ হাসান রুবেল ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ছিলেন। গত ৭ জুন তাদের গ্রেপ্তার করা হয় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহার বাড়িতে হামালার আসামি হিসেবে।

গ্রেপ্তার হওয়ার পর দুই ভাইকে আওয়ামী লীগ ও ফরিদপুর প্রেসক্লাব থেকে বহিষ্কার করা হয়।

গত ১৬ মে রাতে ফরিদপুর শহরের গোয়ালচামাট এলাকার মোল্লাবাড়ি সড়কে অবস্থিত সুবল চন্দ্র সাহার বাড়িতে দুই দফা হামলা হয়। দুই দিন পর অজ্ঞাত ব্যাক্তিদের আসামি করে কোতয়ালী থানায় মামলা করেন সুবল চন্দ্র সাহা।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

8h ago