টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নিয়মে বদল, ভারতকে টপকে শীর্ষে অস্ট্রেলিয়া
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট তালিকায় দলগুলোর অবস্থান নির্ধারণের পদ্ধতিতে বদল আনা হয়েছে। প্রাপ্ত পয়েন্টের বদলে কোনো দল সম্ভাব্য পয়েন্টের কত শতাংশ পয়েন্ট অর্জন করেছে, সেটাকে নতুন মানদণ্ড হিসেবে ঘোষণা করেছে আইসিসি। এই নিয়মের কারণে দুইয়ে নেমে গেছে ভারত। তাদেরকে টপকে শীর্ষে উঠে গেছে অস্ট্রেলিয়া।
বৃহস্পতিবার ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থার বোর্ড সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে নতুন নিয়ম। অনিল কুম্বলের নেতৃত্বাধীন আইসিসি ক্রিকেট কমিটির সুপারিশের পর নেওয়া হয়েছে এই সিদ্ধান্ত।
করোনাভাইরাসের কারণে লম্বা সময় ধরে বন্ধ ছিল প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট। স্থগিত হয়ে গেছে অনেকগুলো সিরিজ। যার প্রভাব পড়েছে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে। এখন পর্যন্ত নয় দলের আসরটির ৫০ শতাংশ ম্যাচও মাঠে গড়ায়নি। তাছাড়া, সবকিছু ঠিকঠাকভাবে এগোলেও নির্ধারিত সময়ের (আগামী ২০২১ সালের মার্চ) মধ্যে চ্যাম্পিয়নশিপের মাত্র ৮৫ শতাংশ ম্যাচ শেষ করা যাবে।
কিন্তু সূচি অনুসারে আগামী জুনেই ফাইনাল আয়োজন করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ আইসিসি। ফলে তাদের সামনে খোলা ছিল দুটি পথ। মহামারির প্রাদুর্ভাবে যে ম্যাচগুলো হয়নি, সেগুলোকে ড্র ধরে নিয়ে দলগুলোর মধ্যে পয়েন্ট ভাগ করে দেওয়া অথবা সম্ভাব্য পয়েন্টের শতকরা হারের ভিত্তিতে পয়েন্ট তালিকা নির্ধারণ করা। আইসিসি বেছে নিয়েছে দ্বিতীয়টিকে।
নতুন নিয়মের প্রবর্তনে তালিকায় যে ব্যাপক রদবদল হয়েছে, তা নয়। তবে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে এসেছে নতুন মাত্রা। চার সিরিজে ৩৬০ পয়েন্ট নিয়ে এতদিন শীর্ষে ছিল ভারত। কিন্তু তাদের সম্ভাব্য পয়েন্ট ছিল ৪৮০। অর্থাৎ ৭৫ শতাংশ পয়েন্ট পেয়েছে তারা। ফলে শীর্ষস্থান হারিয়েছে বিরাট কোহলিরা।
অন্যদিকে, তিন সিরিজে সম্ভাব্য ৩৬০ পয়েন্টের মধ্যে অস্ট্রেলিয়া অর্জন করেছে পয়েন্ট ২৯৬। অর্থাৎ পয়েন্ট প্রাপ্তির হার ৮২.২২ শতাংশ। এতে টিম পেইনের দল উঠে গেছে সবার উপরে। চার সিরিজে ২৯২ পয়েন্ট নিয়ে তিনে থাকা ইংল্যান্ডের পয়েন্ট প্রাপ্তির হার ৬০.৮৩ শতাংশ।
পদ্ধতি বদলালেও বাংলাদেশের অবস্থানের কোনো নড়চড় হয়নি। আগের মতোই তালিকায় সবার নিচে রয়েছে মুমিনুল হকের দল। কারণ, তিন ম্যাচ খেললেও টাইগারদের নামের পাশে নেই কোনো পয়েন্ট। ভারতের মাটিতে ২-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশড হওয়ার পর পাকিস্তানের মাটিতে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতেও হেরেছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয়টি স্থগিত হয়ে গেছে করোনার কারণে।
উল্লেখ্য, বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে প্রতিটি দলের ছয়টি করে সিরিজ খেলার কথা। তিনটি দেশের মাটিতে। তিনটি দেশের বাইরে। প্রতিটি সিরিজের জন্য বরাদ্দ ১২০ পয়েন্ট।
Comments