মিশিগানেও ট্রাম্পের জন্য সুখবর নেই

মিশিগানের ভোটের নিয়ম অনুযায়ী ফলাফল সার্টিফাই করার বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মিশিগানের রাজ্য আইনসভার আইনপ্রণেতা ও প্রভাবশালী রিপাবলিকান নেতারা। শুক্রবার হোয়াইট হাউসে এক বৈঠকে তারা জানান, মিশিগানে যে নির্বাচনী ফলাফল এসেছে, সেটি পরিবর্তন করার মতো কোনো তথ্য বা প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: রয়টার্স

মিশিগানের ভোটের নিয়ম অনুযায়ী ফলাফল সার্টিফাই করার বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মিশিগানের রাজ্য আইনসভার আইনপ্রণেতা ও প্রভাবশালী রিপাবলিকান নেতারা। শুক্রবার হোয়াইট হাউসে এক বৈঠকে তারা জানান, মিশিগানে যে নির্বাচনী ফলাফল এসেছে, সেটি পরিবর্তন করার মতো কোনো তথ্য বা প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

সিএনএন জানায়, ট্রাম্পের সঙ্গে ভোট সার্টিফাই করার বিষয়ে আলোচনা করেছেন রাজ্য সিনেট সভার সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা মাইক সিরকেই এবং রাজ্য আইনসভার স্পিকার লি চ্যাটফিল্ড।

হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের পর এক যৌথ বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘যেমনটি আমরা এই নির্বাচনের শুরু থেকে বলে এসেছি, আইনপ্রণেতা হিসেবে আমরা মিশিগানের নির্বাচনের ক্ষেত্রে আইন মেনে চলব। সাধারণ প্রক্রিয়া অনুসরণ করব।’

সূত্রের বরাত দিয়ে সিএনএন জানায়, প্রেসিডেন্টের কাছে নির্বাচনী ফলাফল সার্টিফাই করা ও নির্বাচিতদের কাছে নিয়ম অনুযায়ী ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়াটি ব্যাখ্যা করার সময় বৈঠকের পরিবেশ সৌহার্দ্যপূর্ণ ছিল। মিশিগানের সার্টিফিকেশন নিয়ে ট্রাম্প আইনপ্রণেতাদের ওপর কোনো ধরনের চাপ প্রয়োগ করেননি।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘মিশিগানের সার্টিফিকেশন প্রক্রিয়া নিয়ে কোনো ধরনের হুমকি বা ভয় দেখানো উচিত না। তবে, ভোট জালিয়াতির অভিযোগকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত, পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত করা উচিত এবং যদি প্রমাণিত হয় তবে আইন অনুযায়ী বিচার করা উচিত। যারা সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছেন তারাই নির্বাচন ও মিশিগানের ইলেকটোরাল ভোট জিতেছেন।’

নেতারা জানান, তারা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে নাগরিকদের জন্য প্রণোদনা আইন নিয়েও আলোচনা করেছেন।

মিশিগানে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেনের জয়ের খবর আসার পর ভোটের সার্টিফিকেশন নিয়ে সেখানে নাটকীয় অবস্থা তৈরি হয়। কাউন্টি নির্বাচন বোর্ডের দুই রিপাবলিকান সদস্য প্রথমে অস্বীকৃতি জানালেও পরে তারা সিদ্ধান্ত পাল্টে সার্টিফিকেশনের পক্ষে ভোট দেন।

তবে, এর পরদিনই তারা একটি অ্যাফিডেভিট জমা দিয়ে জানান, তাদেরকে চাপ দিয়ে সম্মতি আদায় করা হয়েছে।

ওয়েইন কাউন্টির নির্বাচন বোর্ডের ভাইস প্রেসিডেন্ট জনাথন কিনোলচ জানান, রিপাবলিকান সদস্যদের এমন অবস্থান নেওয়ার সময় পেরিয়ে গেছে। তাদের সম্মতির পরই কাউন্টি থেকে সার্টিফাই করে ভোটের ফল অঙ্গরাজ্যের নির্বাচন বোর্ডে পাঠানো হয়েছে। এখন তা আবার ফিরিয়ে আনার কোনো নিয়ম নেই।

দুটি সূত্রের বরাত দিয়ে সিএনএন জানায়, পেনসেলভেনিয়ার রিপাবলিকান রাজ্যের আইনপ্রণেতাদেরও হোয়াইট হাউসে আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা চলছে।

এই সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ব্যক্তিগত আইনজীবী রুডি জুলিয়ানির নেতৃত্বে ট্রাম্পের প্রচারণা শিবিরের আইনি দল এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনে ‘ব্যাপক কারচুপির’ অভিযোগ করেছে।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আইনজীবী সিডনি পাওয়েল ফক্স নিউজকে জানান, সবগুলো সুইং স্টেটের ভোটে ব্যাপক কারচুপি হয়েছে। ওই সব রাজ্যের ইলেক্টোরাল ভোট নিয়ে রাজ্যের আইনসভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত বলে জানান তিনি। এসব নিয়ে তারা সর্বোচ্চ আদালতে যাচ্ছেন বলেও জানিয়েছেন।

নির্বাচনকে আইনি চ্যালেঞ্জ জানাতে এই সপ্তাহে আইনজীবীদের হোয়াইট হাউসে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ট্রাম্প। তবে, ওই বৈঠকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শীর্ষ আইনজীবী রুডি জুলিয়ানিসহ কয়েকজনের উপস্থিত না থাকার সম্ভাবনা আছে।

সম্প্রতি আইনজীবী রুডি জুলিয়ানির ছেলে এন্ড্রু জুলিয়ানির করোনা শনাক্তের পর বর্তমানে সেলফ আইসোলেশনে আছেন তিনি।

ট্রাম্পের প্রচারণা শিবিরের আইনজীবী জেনা এলিস শুক্রবার এক টুইটে জানান, করোনা পরীক্ষায় তিনি ও জুলিয়ানি উভয়ই নেগেটিভ শনাক্ত হয়েছেন। তবে, তাদের পুরো টিম চিকিত্সকদের পরামর্শ ও প্রোটোকল অনুসরণ করবেন।

আরও পড়ুন:

নির্বাচন নিয়ে ট্রাম্পের মজা কিংবা সংকট!

ট্রাম্পের আইনজীবীদের ‘মিথ্যা দাবি’ ও ‘ভিত্তিহীন ষড়যন্ত্র তত্ত্ব’

জর্জিয়ায় বাইডেনের জয়, অডিটে কারচুপির প্রমাণ মিলেনি

পরাজিত ট্রাম্পের পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে ঝুঁকি

বাইডেনের দলের সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ করছেন ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তারা

Comments

The Daily Star  | English

Fashion brands face criticism for failure to protect labour rights in Bangladesh

Fashion brands, including H&M and Zara, are facing criticism over their lack of action to protect workers' basic rights in Bangladesh, according to Clean Clothes Campaign (CCC)..One year after a violent crackdown by state actors and employers against Bangladeshi garment workers protesting

6m ago