থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীর হুঁশিয়ারির পর বিক্ষোভে হাজারো স্কুল শিক্ষার্থী

থাইল্যান্ডের ব্যাংককে দেশটির রাজতন্ত্রের সংস্কারের দাবিতে কয়েক হাজার মানুষ বিক্ষোভ করেছেন শনিবার। যার বেশিরভাগই স্কুল শিক্ষার্থী।
থাইল্যান্ডের ব্যাংককে রাজতন্ত্র সংস্কারের পাশাপাশি শিক্ষাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতেও বিক্ষোভ করে স্কুলশিক্ষার্থীরা। ছবি: রয়টার্স

থাইল্যান্ডের ব্যাংককে দেশটির রাজতন্ত্রের সংস্কারের দাবিতে কয়েক হাজার মানুষ বিক্ষোভ করেছেন শনিবার। যার বেশিরভাগই স্কুল শিক্ষার্থী।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, সরকারবিরোধী আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে থাই প্রধানমন্ত্রীর সব ধরনের আইন ব্যবহারের হুঁশিয়ারির পর এই বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়।

গত বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ ও রাজা মাহা ভাজিরালংকর্ণর ক্ষমতা কমানোর দাবিতে আন্দোলনরতদের বিরুদ্ধে এমন হুঁশিয়ারি দেন থাই প্রধানমন্ত্রী প্রয়ূথ চান-ওচা।

শনিবারের বিক্ষোভে স্কুল শিক্ষার্থীরা রাজতন্ত্র সংস্কারের পাশাপাশি শিক্ষাব্যবস্থা সংস্কারেরও দাবি জানান। এছাড়াও নারী-পুরুষ সমতা ও উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থার দাবিও জানানো হয়।

পুলিশ জানায়, শনিবার ‘ব্যাড স্টুডেন্ট গ্রুপ’ নামে একটি দলের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। এর আগে প্রতিবাদ সমাবেশে অংশ নেওয়া দুই কিশোর নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।

১৮ বছর বয়সী হাইস্কুল শিক্ষার্থী ম্যামেও বলেন, ‘আমাদের কাছ থেকে যে স্বাধীনতা ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে আমরা সেটা ফিরে পেতে চাই। পাশাপাশি, শিক্ষাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে আমরা এখানে এসেছি। আমাদের দাবি, প্রকৃত সাংবিধানিক রাজতন্ত্র।’

বিক্ষোভে আসা স্কুলের পোশাক পরা এক শিক্ষার্থী প্ল্যাকার্ডে লেখে, ‘শিক্ষকদের দ্বারা যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছি। স্কুল নিরাপদ জায়গা নয়।’

প্রতিবাদ জানাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে থাই ভাষায় #বাইবাইডাইনোসর নামে একটি হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করেছে ব্যাড স্টুডেন্ট গ্রুপ।

সরকারী মুখপাত্র আনুচা বুড়াপচাইশ্রি জানান, প্রধানমন্ত্রী আশা করেন, প্রতিবাদকারীরা তাদের স্বাধীনতা যথাযথভাবে গঠনমূলক ও আইনের আওতায় থেকেই ব্যবহার করবেন।

জুলাইয়ের পর থেকে থাইল্যান্ডের বিক্ষোভকারীরা তিনটি মূল দাবিতে আন্দোলন করছেন। এগুলো হলো-  ২০১৪ সালে গণতান্ত্রিক সরকারকে হটিয়ে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান-ওচার পদত্যাগ, নতুন সংবিধান ও রাজা মাহা ভাজিরালংকর্ণর ক্ষমতা কমিয়ে রাজতন্ত্রের সংস্কার।

Comments

The Daily Star  | English

S Alam sons: They used fake pay orders even to legalise black money

Ashraful Alam and Asadul Alam Mahir, two sons of controversial businessman Mohammed Saiful Alam, deprived the state of Tk 75 crore in taxes by legalising Tk 500 crore in undisclosed income, documents obtained by The Daily Star have revealed.

49m ago