ঘোড়াঘাটের ইউএনও অফিসের বরখাস্তকৃত কর্মচারীকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম ও তার বাবার ওপর হামলার মামলায় বরখাস্তকৃত কর্মচারী রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ।
রবিউল ইসলাম আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেওয়ার দুই মাস পর, তাকে একমাত্র আসামি করে আজ শনিবার দুপুরে আদালতে চার্জশিট দেওয়া হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও দিনাজপুর ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমাম জাফর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ফরেনসিক রিপোর্ট এবং তদন্তের পর সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে রবিউল ইসলামকে একমাত্র আসামি করে তার বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। মামলার অপর চার আসামির বিরুদ্ধে কোন সাক্ষ্য প্রমাণ না পাওয়ায়, মামলা থেকে তাদেরকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করা হয় চার্জশিটে।
এ মামলায় ইউএনও কার্যালয়ের বরখাস্তকৃত কর্মচারী (মালী) রবিউল ইসলামসহ পাঁচ জনকে আসামি করা হয়েছিল।
অপর চার আসামি হলেন--ঘোড়াঘাট পৌর যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা আসাদুল ইসলাম, স্থানীয় রং মিস্ত্রী নবীরুল ইসলাম, সান্টু কুমার দাস ও ইউএনও বাসভবনের নৈশ প্রহরী নাদিম হোসেন পলাশ।
গত ২ সেপ্টেম্বর বুধবার দিবাগত রাতে সরকারি বাসভবনে ঢুকে ঘোড়াঘাট ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলী শেখকে নির্মমভাবে পিটিয়ে জখম করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় ইউএনও ওয়াহিদা খানমের বড় ভাই শেখ ফরিদ উদ্দীন বাদী হয়ে ৩ সেপ্টেম্বর রাতে ঘোড়াঘাট থানায় মামলা করেন।
মামলাটি পরে ঘোড়াঘাট থানা থেকে দিনাজপুর ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এদের মধ্যে প্রধান আসামি আসাদুল ইসলাম, নবীরুল ইসলাম ও সান্টু কুমার দাসকে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।
আসামি রবিউল ইসলামকে প্রথম দফায় ছয় দিন ও দ্বিতীয় দফায় তিন দিন রিমান্ড শেষে গত ২০ সেপ্টেম্বর দিনাজপুরে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
Comments