বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ-২০২০

সেরার তকমা নিয়েই ‘বড় কিছু’র জন্য নামবে খুলনা

খাতায়-কলমে যদি কাউকে সেরা ধরতে হয়, তাহলে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ শুরুর আগে সেই তকমা পাবে দলটি।
Shakib Al Hasan & Mahmudullah
ছবি: বিসিবি

প্লেয়ার্স ড্রাফটে সবচেয়ে বেশি খরচ করে দল বানিয়েছে জেমকন খুলনা। খাতায়-কলমে যদি কাউকে সেরা ধরতে হয়, তাহলে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ শুরুর আগে সেই তকমা পাবে দলটি। তাদের স্কোয়াডের নামগুলোও দিচ্ছে সেই বার্তা। ড্রাফটে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে থাকা পাঁচ ক্রিকেটারের দুজনই আছেন খুলনাতে।

বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ আছেন নেতৃত্বে। সবশেষ প্রেসিডেন্ট’স কাপেও তার দল চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। তবে নিঃসন্দেহে তাদের দলে সবচেয়ে বড় নাম সাকিব আল হাসান। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরা এই তারকা অলরাউন্ডার নিশ্চিতভাবেই শক্তি বিচারের দাঁড়িপাল্লায় ওজন অনেক বাড়িয়েছেন খুলনার।

জাতীয় দলের তারকা

মজার কথা হলো, ভারসাম্যপূর্ণ দল তৈরি করলেও বর্তমান জাতীয় দলের খুব বেশি খেলোয়াড় নেই খুলনায়। মাহমুদউল্লাহ-সাকিবের বাইরে সাম্প্রতিক সময়ে নিয়মিত জাতীয় দলে খেলেছেন বা আগামীতে নিশ্চিতভাবেই খেলবেন এমন আর কেউই নেই! জাতীয় দলে আসা-যাওয়ার মধ্যে থাকা টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান ইমরুল কায়েস আছেন, দুই পেসার আল-আমিন হোসেন আর শফিউল ইসলামও আছেন।

উঠতি তারকা

উঠতিদের মধ্যে টি-টোয়েন্টির আদর্শ মেনে সেরাদের একজনকেই বেছে নিয়েছে খুলনা। অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার শামীম পাটোয়ারি সম্ভবত তার সমবয়সীদের মধ্যে সবচেয়ে আগ্রাসী ব্যাটসম্যান। যুব বিশ্বকাপজয়ী দলের এই ক্রিকেটার ক্রিজে গিয়েই মার শুরু করতে পটু। করতে পারেন কার্যকর স্পিন। উঠতি তালিকায় পেসার হাসান মাহমুদকে রাখা যায় এই ক্যাটাগরিতে। যদিও সবশেষ বিপিএলে আলো কেড়ে ইতোমধ্যে জাতীয় দলেও ডাক পেয়ে গেছেন তিনি।

শক্তি-দুর্বলতা

দুই অভিজ্ঞের সঙ্গে বেশ কিছু মাঝারি মানের কিন্তু নিয়মিত পারফর্মার খুলনার মূল শক্তির জায়গা। টপ অর্ডারে ইমরুল বরাবরই দেশের উইকেটে সফল। তবে তার সঙ্গী এনামুল হক বিজয়ের আছে ধারাবাহিকতার ঘাটতি। টপ অর্ডারে রান পাওয়ার দক্ষতা আছে জহুরুল ইসলাম অমির। খুলনার সবচেয়ে শক্তির জায়গা তাদের মিডল অর্ডার। মাহমুদউল্লাহ-সাকিবের মতো দুজনকে এখানে পাচ্ছে তারা। ছয়-সাতে নেমে ঝড় তোলার জন্য আছে একাধিক বিকল্প।

তবে যাদের নিয়ে আশা সবচেয়ে বেশি, তারা ডোবাতেও পারেন। এক বছরের বেশি সময় খেলার বাইরে থাকা সাকিবের মানিয়ে নিতে কিছুটা সময় লাগা অস্বাভাবিক নয়। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে ফেভারিট তকমায় থাকে বাড়তি চাপও। মাঠে পরিকল্পনার প্রয়োগ করতে গিয়ে প্রত্যাশার সঙ্গে বাস্তবতার অমিল থাকে অনেক ক্ষেত্রেই।

ঘরোয়া পারফর্মার

দলের প্রয়োজনে যেকোনো পজিশনে ব্যাট করতে পারেন শুভাগত হোম চৌধুরী। প্রথম বল থেকেই মারার সামর্থ্য আছে তার। ঘরোয়া ক্রিকেটে অনেকবারই দেখিয়েছেন তা। আছে কার্যকর অফ স্পিন। শামীম আর শুভাগতর মাধ্যমে শেষের ঝড়ের একটা ভরসা করতে পারে খুলনা। সেরা অবস্থায় না থাকলেও এখানে বিকল্প হিসেবে আছেন আরিফুল হক।

সাকিবের নেতৃত্বে স্পিন বিভাগ তো আছেই। খুলনার পেস আক্রমণও বেশ জুতসই। প্রেসিডেন্ট’স কাপে আল-আমিন মিতব্যয়ী বল করে জানান দিয়েছেন তিনি কতটা কার্যকর হতে পারেন টি-টোয়েন্টিতে। এই জায়গায় তার মতোই চাহিদা মেটানোর জন্য তৈরি শহিদুল ইসলাম। তাদের সঙ্গে গতি দিয়ে বৈচিত্র্য আনতে পারেন হাসান।

এক্স-ফ্যাক্টর

বলার অপেক্ষা রাখে না, অতি অবশ্যই সাকিব আল হাসান এক্স-ফ্যাক্টর হওয়ার সবচেয়ে যোগ্যতম ব্যক্তি।

প্রত্যাশা-লক্ষ্য

অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ভীষণ আশাবাদী তার দল নিয়ে, ‘দল হিসেবে আমরা খুবই ভারসাম্যপূর্ণ। বোলিংয়ের দিক থেকে যদি বলি- শফিউল ইসলাম, আল-আমিন হোসেন, হাসান মাহমুদদের সামর্থ্য আছে বড় কিছু করার। স্পিন আক্রমণে সাকিব আল হাসানের সঙ্গে রিশাদ হোসেন মিলে আনবে বৈচিত্র্য। আমার মনে হয়, দল হিসেবে জেমকন খুলনা বড় কিছুর জন্য দুর্দান্ত দল।’

‘ব্যাটিং আমাদের অভিজ্ঞতায় ভরপুর। এনামুল হক বিজয়, ইমরুল কায়েস, সাকিব, জহুরুল ইসলাম অমি আর আমিও আছি। দীর্ঘদিন খেলার কারণে সবাই অভিজ্ঞ। এছাড়া শুভাগত হোম, আরিফুল হকরা প্রচুর ক্রিকেট খেলেছে। পুরো দল নিয়ে আমি খুশি।’

জেমকন খুলনা: সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ, ইমরুল কায়েস, হাসান মাহমুদ, আল-আমিন হোসেন সিনিয়র, এনামুল হক বিজয়, শামীম পাটোয়ারি, আরিফুল হক, শফিউল ইসলাম, শুভাগত হোম চৌধুরী, শহিদুল ইসলাম, রিশাদ হোসেন, জাকির হাসান, নাজমুল ইসলাম অপু, সালমান হোসেন, জহুরুল ইসলাম অমি।

Comments

The Daily Star  | English

Fashion brands face criticism for failure to protect labour rights in Bangladesh

Fashion brands, including H&M and Zara, are facing criticism over their lack of action to protect workers' basic rights in Bangladesh, according to Clean Clothes Campaign (CCC)..One year after a violent crackdown by state actors and employers against Bangladeshi garment workers protesting

6m ago