ট্রাম্পের করোনা চিকিৎসার ওষুধ অনুমোদন দিয়েছে এফডিএ

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর তাকে রেজেনেরন ফার্মাসিউটিক্যালের একটি পরীক্ষামূলক অ্যান্টিবডি থেরাপি দেওয়া হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের সংক্রমণ বাড়তে থাকায় জরুরি ভিত্তিতে এই থেরাপি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ)।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর তাকে রেজেনেরন ফার্মাসিউটিক্যালের একটি পরীক্ষামূলক অ্যান্টিবডি থেরাপি দেওয়া হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের সংক্রমণ বাড়তে থাকায় জরুরি ভিত্তিতে এই থেরাপি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ)।

নিউ ইয়র্ক টাইমস জানায়, রেজেনেরন ফার্মাসিউটিক্যালের তৈরি ওই অ্যান্টিবডি থেরাপি মূলত দুটি শক্তিশালী অ্যান্টিবডির মিশ্রণে তৈরি। প্রাথমিক পরীক্ষায় এটি করোনাভাইরাসের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে বলে দেখা গেছে।

এ মাসের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা- এলি লিলির তৈরি মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডির একটি মিশ্রণও জরুরি ভিত্তিতে অনুমোদন দিয়েছে এফডিএ।

তবে, রেজেনেরনের ওষুধটি কেবল এমন ব্যক্তিরা ব্যবহার করতে পারবেন যারা করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছেন ও এর উচ্চ ঝুঁকিতে আছেন। তবে, হাসপাতালে ভর্তি বা অক্সিজেনের প্রয়োজন এমন রোগীদের ক্ষেত্রে রেজেনেরন ওষুধ ব্যবহারের অনুমোদন পায়নি।

টাইমস জানায়, এলি লিলির অ্যান্টিবডি মিশ্রণের মতো রেজেননের ককটেলটিও করোনা আক্রান্ত হওয়ার প্রাথমিক অবস্থায় সবচেয়ে ভালো কাজ করে।

রোববার রেজেনেরন ফার্মাসিউটিক্যাল এক বিবৃতিতে জানায়, নভেম্বরের শেষ দিকে তারা প্রায় ৮০ হাজার রোগীর জন্য পর্যাপ্ত ওষুধ উৎপাদন করবে। এছাড়াও জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে দুই লাখ ও জানুয়ারির শেষদিকে তিন লাখ রোগীর জন্য সংস্থাটি পর্যাপ্ত ওষুধ উৎপাদন করবে।

সংস্থাটি জানিয়েছে, সুইস ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা রোসের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে তারা উত্পাদন বাড়াতে শুরু করেছে। তবে, রেজেনেরনের ওষুধেই ট্রাম্প সুস্থ হয়েছিলেন কিনা কিনা তা নিশ্চিতভাবে জানা অসম্ভব।

টাইমস জানায়, ওয়াল্টার রিড ন্যাশনাল মিলিটারি মেডিকেল সেন্টারে থাকাকালীন ট্রাম্পকে একাধিক ওষুধ দেওয়া হয়েছিল।

করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে প্রতিদিনই আক্রান্তের সংখ্যা রেকর্ড ছাড়িয়ে যাচ্ছে। রোগীদের চাপে যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি রাজ্যে হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা।

জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এক কোটি ২০ লাখ ৮৫ হাজার ৩৮৬ জন এবং মারা গেছেন দুই লাখ ৫৫ হাজার ৮২৩ জন।

আরও পড়ুন:

ট্রাম্প ও মেলানিয়ার করোনা পজিটিভ

ট্রাম্পের থেকে করোনা ছড়ানোর ঝুঁকি নেই: চিকিৎসক

ট্রাম্পের করোনাবচন!

Comments

The Daily Star  | English

3 quota protest leaders held for their own safety: home minister

Three quota protest organisers have been taken into custody for their own safety, said Home Minister Asaduzzaman Khan

14m ago