বাইডেন মন্ত্রিসভার শীর্ষ ৬ সদস্যের নাম ঘোষণা

Joe Biden
ইউএস কনফারেন্স অব মেয়রস এর সদস্যদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত জো বাইডেন। ২৩ নভেম্বর ২০২০। ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন মন্ত্রিসভার কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় সদস্যের নাম ঘোষণা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সদ্য নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

গতকাল সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে কয়েকজনের নাম ঘোষণা করেন তিনি।

আজ মঙ্গলবার সিএনএন’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এই প্রথম বাইডেন গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান হিসেবে এক নারী ও অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে কোনো ল্যাটিন-আমেরিকান বংশোদ্ভূতকে বেছে নিচ্ছেন তার মন্ত্রিসভার জন্যে।

সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালক হিসেবে নারী কর্মকর্তা অ্যাভ্রিল হাইনেসকে মনোনয়ন দিয়েছেন বাইডেন। সাবেক সিআইএ কর্মকর্তা অ্যাভ্রিল এর আগে ডেপুটি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

পাশাপাশি, কিউবান বংশোদ্ভূত আলেহান্দ্রো মায়েরকাসকে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পেলে এই দুটি ক্ষেত্রে ইতিহাস গড়তে চলেছে বাইডেন প্রশাসন।

এছাড়াও, সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আমলের একাধিক কর্মকর্তাকে মনোনয়ন দিয়েছেন বাইডেন।

মন্ত্রিসভায় জলবায়ুবিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরিকে। ওবামার আমলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি স্বাক্ষরে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।

নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বে ওবামা আমলের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে মনোনীত পেয়েছেন জ্যাক সুলিভান।

তারা দুজনই ২০১৫ সালে জন কেরির নেতৃত্বে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পদস্থ কর্মকর্তা হিসেবে ইরানের সঙ্গে ছয় জাতির পরমাণু চুক্তি স্বাক্ষরের আলোচনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন।

জো বাইডেন মন্ত্রিসভার জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পেতে পারেন লিন্ডা টমাস-গ্রিনফিল্ড।

গতকাল বিকেলে দেশটির জেনারেল সার্ভিসেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জিএসএ) থেকে পাঠানো এক চিঠিতে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরুর প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।

ক্ষমতা হস্তান্তরে রাজি হলেও এখনো নির্বাচনে পরাজয় মেনে নেননি ডোনাল্ড ট্রাম্প।

গতকাল এক টুইটে ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমাদের মামলাগুলো জোর কদমে এগিয়ে চলেছে। আমরা ভালোভাবে লড়াই করে যাব। আর বিশ্বাস করি, আমরা টিকে থাকব।’

আরও জানিয়েছেন, তিনি নির্বাচনে পরাজয় নিয়ে আইনি লড়াই চালিয়ে গেলেও ক্ষমতা হস্তান্তরে তদারকি করা ফেডারেল এজেন্সিকে অবশ্যই ‘যা করা দরকার তা করতে হবে।’

Comments

The Daily Star  | English

What's inside Trump's tariff letter to Yunus

The letter stated that Bangladeshi goods transshipped to evade the new tariff would be subject to higher duties.

20m ago