তাজরীন শ্রমিকদের ৩ দাবি, গণভবনে যাওয়ার পথে পুলিশি বাধা

তাজরীন গার্মেন্টসের ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকরা তিন দফা দাবি নিয়ে ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে গণভবনে যেতে চাইলে পুলিশ প্রেসক্লাবের কাছে তাদের বাধা দেয়।
তাজরীন গার্মেন্টসের ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকরা তিন দফা দাবি নিয়ে ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে গণভবনে যেতে চাইলে পুলিশের বাধা দেয়। এরপর তারা ব্যারিকেডের সামনে শুয়ে পড়েন। ২৪ নভেম্বর ২০২০। ছবি: প্রবীর দাশ

তাজরীন গার্মেন্টসের ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকরা তিন দফা দাবি নিয়ে ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে গণভবনে যেতে চাইলে পুলিশ প্রেসক্লাবের কাছে তাদের বাধা দেয়।

আজ মঙ্গলবার সকালে তাজরীন ট্র্যাজেডির ৮ বছর পূর্তিতে আহত শ্রমিকরা তাদের দাবি নিয়ে গণভবনে যাওয়ার কর্মসূচি নিয়েছিলেন।

ঘটনাস্থল থেকে আমাদের আলোকচিত্রী প্রবীর দাশ জানিয়েছেন, তাজরীন গার্মেন্টসের ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকরা তিন দফা দাবি নিয়ে গত দুই মাসের বেশি সময় ধরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান করছিলেন।

আজ সকালে তাজরীন ট্র্যাজেডির ৮ বছর পূর্তিতে তারা সোয়া ১২টার তাদের সুচিকিৎসা, এককালীন ক্ষতিপূরণ ও বাসস্থানের সুব্যবস্থার দাবিগুলো নিয়ে গণভবনে যেতে চাইলে পুলিশ প্রেসক্লাবের কাছে বাধা দেয়।

এরপর শ্রমিকরা সেখানে শুয়ে পড়েন উল্লেখ করে তিনি আরও জানিয়েছেন, সেসময় তাজরীন গার্মেন্টসের ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকরা তাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন।

তাজরীনের আহত শ্রমিক রেহানা আক্তার গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তাজরীনের আগুনে তার পরিবারের চার সদস্য মারা গেছেন। তিনিও সেখানে কাজ করতেন। ভবন থেকে লাফ দিয়ে তিনি প্রাণে বেঁচে যান। এরপর তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন।

জরিনা নামের এক আহত শ্রমিক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেছেন, ‘আমি আমার দুই সন্তানকে নিয়ে দুই মাসের বেশি সময় ধরে প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান করছি। তাজরীনে আগুন লাগার সময় আমি তিন তলা থেকে লাফ দিই এই আশায় যে আমি মরে গেলেও আমার পরিবার লাশ খুঁজে পাবে। আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেলে তো আর কিছু পাবে না।’

‘এখন পা ভেঙে পঙ্গু হয়ে বেঁচে আছি। এখন আমরা আমাদের তিন দফা দাবি আদায়ের জন্যে প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান করছি,’ যোগ করেন তিনি।

২০১২ সালের এই দিনে আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুর এলাকায় তাজরীন ফ্যাশন লিমিটেডে অগ্নিকাণ্ডে ১১৭ জন পোশাকশ্রমিক নিহত হন। আহত হয়েছিলেন দুই শতাধিক। দেশের পোশাকশিল্পে এটিই অগ্নিকাণ্ডের সর্বোচ্চ হতাহতের ঘটনা।

Comments