হারের দায় বোলারদের দিলেন মুশফিক
লক্ষ্যটা ছিল ১৭০ রানের। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এ লক্ষ্যটা খুব বড় কিছু নয়। তবে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে এ রানই কখনো কখনো খুব বড় হয়ে ওঠে। মঙ্গলবারও হলো তাই। প্রায় তীরে এসে থামতে হয়েছে বেক্সিমকো ঢাকাকে। আর এ হারের জন্য ঢাকার অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম কাঠগড়ায় তুলেছেন বোলারদের।
বল হাতে ঢাকার শুরুটা যে খুব খারাপ ছিল তাও নয়। প্রথম ওভারে মাত্র ১ রান দিয়েছিল তারা। কিন্তু এরপর কিছুটা হাত খুলে খেলার চেষ্টা করেন দুই ওপেনার রাজশাহী অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও আনিসুল ইসলাম ইমন। তবে মাঝে দারুণভাবে ফিরে এসেছিল ঢাকা। ৬৫ রানেই প্রতিপক্ষের ৫টি উইকেট তুলে রাজশাহীকে অল্প রানে বেঁধে ফেলার সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছিলেন। কিন্তু পরে মেহেদী হাসান ও নুরুল হাসান সোহানের ব্যাটে ১৬৯ রান সংগ্রহ করে দলটি।
আর এ কারণেই বোলারদের দায় দিচ্ছেন মুশফিক। ম্যাচ শেষে বলেন, 'আমার মনে হয় আমরা বোলিংয়ে খুব ভালো করতে পারিনি। আমরা শুরুটা ভালো করিনি আবার মাঝখানে ভালো করেছি। এরপর শেষদিকে (রাজশাহীর) সোহান ও মেহেদী ভালো ব্যাটিং করেছে। আমার মনে হয় আমাদের বোলাররা নিজেদের পরিকল্পনা অনুযায়ী বল করতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত আমাদের বোলাররা ঠিকভাবে শেষ করতে পারেনি।'
এদিন মাত্র ২ রানে মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহীর কাছে হেরে গেছে ঢাকা। নাটকীয় এ ম্যাচে শেষদিকে জয়ের পথ তৈরি করেছিলেন মুক্তার আলী। ১৯তম ওভারে ২১ রান তুলে নেওয়ার মূল কৃতিত্বটা ছিল মুক্তার আলীর। কিন্তু মেহেদীর করা শেষ ওভারে প্রয়োজনীয় ৯ রান তুলে নিতে পারেননি তিনি।
এছাড়া প্রতিপক্ষ দলের বোলারদেরও কৃতিত্ব দিয়েছেন মুশফিক, ''আমি, আকবর, তামিম, নাঈম সবাই সেট হয়েছিলাম কিন্তু আপনার শুরুটাকে বড় করতে হবে। কেউ ৬০-৭০ রান করতে পারলে ম্যাচ আমাদের হাতে থাকতো আমি তেমন মনে করি না। তারা শেষদিকে ভালো বল করেছে। আপনি যদি দেখেন মাঝখানে আমাদের ওভারে ৯-১০ রান করে লাগতো। আমার মনে হয় আকবরের উইকেটটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। নতুন ব্যাটসম্যানের জন্য কঠিন ছিল শেষদিকে। আপনি আশা করতে পারেন না কোনো ব্যাটসম্যান এসেই তিন ছক্কা হাঁকাবে। কৃতিত্বটা মুক্তারের সে শেষ ওভার ছাড়া খুব ভালো ব্যাট করেছে।'
তবে এ হার থেকে শিক্ষা নিয়ে পরবর্তী ম্যাচে ভালো কিছু করার প্রত্যয় ঝরে মুশফিকের কণ্ঠে, 'আশা করি আমরা এই ম্যাচ থেকে শিখতে পারবো। এটাই খেলার সৌন্দর্য। আপনার ভুল থেকে শিখতে হবে এবং পরের ম্যাচে আরও ভালোভাবে ফিরে আসতে হবে।'
Comments