শীত জেঁকে বসেছে লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামে
দেশের উত্তরাঞ্চলের সীমান্তবর্তী জেলা লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামে শীত জেঁকে বসেছে। দিনে সূর্য কিছুটা স্বস্তি জোগালেও রাত থেকে সকাল পর্যন্ত রাখতে হচ্ছে বাড়তি প্রস্তুতি। বেশি বিপাকে পড়েছেন ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা, ধরলা, দুধকুমারের তরবর্তী গ্রাম ও চরাঞ্চলের কয়েক লাখ মানুষ।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, গত তিন দিন ধরে এ অঞ্চলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে জোড়গাছ গ্রামের ৬৫ বছর বয়সী আকলিমা বেওয়া দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘হামরা প্যাটের ভোক আর জার সহ্য করির পাং না। ওই বছর দুখান কম্বল পাছিনুং। একনা খুইয়া আর একনা দুই শ টাকাত বেছাইছং। একনা কম্বল বেছায়া চাইল কিন খাইছোং।’
লালমনিরহাটের সদর উপজেলার তিস্তাপাড়ের কালমাটি এলাকার ৬৫ বছর বয়সী আব্বাস আলী বলেন, শীত আসলে তাদের দুঃখ বেড়ে যায়। গরম সহ্য হলেও শীত এড়ানো কঠিন। এখন শীত জেঁকে বসেছে। ঠান্ডার কারণে সকালে ঘর থেকে বের হওয়া যাচ্ছে না।
তিনি বলেন, ‘হামারগুলার ঘরোত তেমন কোনো গরম কাপড়-চোপড় নাই। হামার কিনবার মতোন সাধ্য নাই। ঠান্ডাত অ্যালা কী করি! আগুন জ্বালায় গাওত তাপ দ্যাং।’
লালমনিরহাটের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ কুমার আচার্য দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, শীত জেঁকে বসায় আমরা গরম পোশাক সংগ্রহে মাঠে নেমেছি। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করা সম্ভব হবে।
কুড়িগ্রাম জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল হাই সরকার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে। শীত জেঁকে বসতে শুরু করেছে। শিগগির শীতার্ত মানুষকে গরম কাপড় সহায়তা দেওয়া হবে।
Comments