বিশ্বকাপে যেসব পরিসংখ্যানে ঝলমল ম্যারাডোনার নাম

আর্জেন্টিনার কিংবদন্তি সাবেক তারকার স্মরণে বিশ্বকাপে তার অর্জন ও সাফল্যের পরিসংখ্যান তুলে ধরেছে ক্রীড়া উপাত্ত নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান অপ্টা
Diago Maradona
ছবি: রয়টার্স

১৯৮৬ বিশ্বকাপে নন্দিত ও নিন্দিত ‘হ্যান্ড অব গড’। ওই গোলের পাঁচ মিনিটের মধ্যে গোটা বিশ্বকে আরও একবার তাক লাগিয়ে দেওয়া। ইংল্যান্ডের রক্ষণভাগকে চৌচির করে বিশ্বকাপের ইতিহাসের সেরা গোল। ফুটবলের সর্বোচ্চ মঞ্চে ফুটবলপ্রেমীদের এমন অবিস্মরণীয় সব মুহূর্ত উপহার দিয়েছেন দিয়েগো ম্যারাডোনা। আর্জেন্টিনার কিংবদন্তি সাবেক তারকার স্মরণে বিশ্বকাপে তার অর্জন ও সাফল্যের পরিসংখ্যান তুলে ধরেছে ক্রীড়া উপাত্ত নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান অপ্টা।

বুধবার মারা গেছেন ‘ফুটবল ঈশ্বর’ খ্যাত ম্যারাডোনা। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬০ বছর। তিগ্রেতে নিজ বাসায় হার্ট অ্যাটাক হয় তার। হাসপাতালে নেওয়াও হয়েছিল। কিন্তু তাকে আর ফেরানো যায়নি। মহাতারকার মহাপ্রয়াণে শোকে বিহ্বল হয়ে পড়েছে পুরো বিশ্ব।

পরিসংখ্যান:

- ২১ থেকে ৩৩ বছর বয়সের মধ্যে টানা চারটি বিশ্বকাপে খেলেছেন ম্যারাডোনা। সেখানে প্রথমবার আর্জেন্টিনার প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন ১৯৮২ আসরে, শেষবার ১৯৯৪ আসরে। তার নেতৃত্বে ১৯৮৬ সালে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল আলবিসেলেস্তেরা।

- বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলা আর্জেন্টাইন ফুটবলার ম্যারাডোনা। তিনি মাঠে নেমেছেন মোট ২১ ম্যাচে। এই তালিকায় দুইয়ে আছেন হাভিয়ের মাশচেরানো (২০), তিনে লিওনেল মেসি (১৯)।

- একাধিক বিশ্বকাপে দলকে নেতৃত্ব দেওয়া মাত্র তিন ফুটবলারের একজন হলেন ম্যারাডোনা ( ১৯৮৬ ও ১৯৯০ আসরে)। বাকি দুজন হলেন জার্মানির কার্ল-হেইঞ্জ রুমানিগে (১৯৮২ ও ১৯৮৬) ও ব্রাজিলের কার্লোস দুঙ্গা (১৯৯৪ ও ১৯৯৮)।

- ১৯৮৬ বিশ্বকাপে ৭ ম্যাচ খেলে ১০ গোলে অবদান রেখেছিলেন ম্যারাডোনা। নিজে করেছিলেন ৫ গোল, সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছিলেন আরও ৫ গোল। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত একক আসরে এতগুলো গোলে অবদান রাখতে পারেনি আর কেউই।

- বিশ্বকাপের মঞ্চে ম্যারাডোনার গোলসংখ্যা ৮। আর্জেন্টিনার জার্সিতে তার চেয়ে বেশি গোল আছে কেবল গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতার (১০)।

- তিনটি বিশ্বকাপে গোল করার কৃতিত্ব দেখিয়েছেন মাত্র তিন আর্জেন্টাইন ফুটবলার। তাদের মধ্যে একজন ম্যারাডোনা। বাকিরা হলেন সাবেক স্ট্রাইকার বাতিস্তুতা ও সময়ের অন্যতম সেরা ফুটবলার মেসি।

- সবমিলিয়ে ২১ ম্যাচে সতীর্থদের দিয়ে ৮ গোল করিয়েছেন ম্যারাডোনা। ১৯৬৬ আসর থেকে হিসাব করলে এতগুলো অ্যাসিস্ট নেই আর কারও।

- চারবার বিশ্বকাপে অংশ নিয়ে ১৫২ ফ্রি-কিক আদায় করেন ম্যারাডোনা। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ব্রাজিলের জেয়ারজিনহোর (৬৪) চেয়ে যা দ্বিগুণেরও বেশি।

- বিশ্বকাপ ক্যারিয়ারে প্রতি ম্যাচে গড়ে সাতবার ফাউলের শিকার হয়েছেন ম্যারাডোনা। অর্থাৎ প্রতি ১২ মিনিট ৪৬ সেকেন্ডে একবার করে ফাউল করা হতো তাকে।

- ১৯৮২ থেকে ১৯৯০ সালের মধ্যে টানা তিন আসরে সবচেয়ে বেশি ফাউল করা হয়েছিল ম্যারাডোনাকে। শুধু ১৯৮৬ আসরেই তিনি ফাউলের শিকার হয়েছিলেন ৫৪ বার।

- ১৯৭০ সাল থেকে বিশ্বকাপে কার্ড প্রথা চালু হওয়ার পর ম্যারাডোনাকে ফাউল করেই সবচেয়ে বেশি শাস্তি পেয়েছে প্রতিপক্ষের ফুটবলাররা। তাকে ফাউল করার ফলস্বরূপ দেখানো হয়েছে ১২টি কার্ড। পরের স্থানটি নেদারল্যান্ডসের আরিয়েন রোবেনের (১১)।

- ১৯৮৬ আসরে প্রতিপক্ষের গোলমুখে আর্জেন্টিনার নেওয়া ১০১ শটের ৫৬ শতাংশে যুক্ত ছিল ম্যারাডোনার নাম। তিনি নিজে নিয়েছিলেন ৩০টি শট। চূড়ান্ত পাস দিয়েছিলেন ২৭ বার।

- ১৯৮৬ আসরে সবচেয়ে বেশি ৫৩টি ড্রিবল সম্পন্ন করেছিলেন ম্যারাডোনা। অর্থাৎ প্রতি ম্যাচে প্রায় আটবার প্রতিপক্ষকে এড়িয়ে এগিয়ে যেতেন তিনি। সেবার কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শতাব্দীর সেরা গোল করার সময় একটানে ড্রিবল করেছিলেন ৪টি।

- ২০১৮ বিশ্বকাপ পর্যন্ত সবমিলিয়ে সর্বোচ্চ ১০৫টি ড্রিবলের রেকর্ড ধরে রেখেছিলেন ম্যারাডোনা। তা ভাঙা পড়েছে তার স্বদেশি তারকা মেসির সুবাদে (১১০)।

Comments

The Daily Star  | English

Fashion brands face criticism for failure to protect labour rights in Bangladesh

Fashion brands, including H&M and Zara, are facing criticism over their lack of action to protect workers' basic rights in Bangladesh, according to Clean Clothes Campaign (CCC)..One year after a violent crackdown by state actors and employers against Bangladeshi garment workers protesting

7m ago