চলে গেলেন আলী যাকের
চলে গেলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত অভিনেতা, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দসৈনিক, নাট্য ব্যক্তিত্ব আলী যাকের।
আজ শুক্রবার সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
দ্য ডেইলি স্টার অনলাইনকে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ।
তিনি বলেছেন, ‘পারিবারিকভাবে এখনও দাফনের বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে উনাকে বিদায়ের জন্য সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট থেকে কোনো আনুষ্ঠানিকতার সুযোগ আর পাচ্ছি না। কারণ, উনি করোনা পজিটিভ ছিলেন।’
বার্ধক্য ও হার্টের সমস্যাসহ কিছু শারীরিক জটিলতা নিয়ে গত ১৭ নভেম্বর ঢাকার শ্যামলীর একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল আলী যাকেরকে। সেখানে তাকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিৎসা দেওয়া হয়েছিল।
আলী যাকের কয়েকবছর ধরে ক্যানসারের সঙ্গেও লড়াই করেছিলেন। তাই সাংস্কৃতিক অঙ্গন থেকে নিজেকে কিছুটা সরিয়ে নিয়েছিলেন।
১৯৭২ সালের আরণ্যক নাট্যদলের ‘কবর’ নাটকে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে পথচলা শুরু করেছিলেন এই নাট্যব্যক্তিত্ব। পরবর্তীতে ১৯৭৩ সাল থেকে কাজ করেছিলেন নাগরিক নাট্যসম্প্রদায় নিয়ে। মঞ্চের পাশাপাশি টিভি নাটকেও সমাদৃত হয়েছিলেন তিনি।
আলী যাকের নির্দেশিত মঞ্চনাটকের মধ্যে রয়েছে— ‘অচলায়তন’, ‘বাকী ইতিহাস’, ‘বিদগ্ধ রমণীকুল’, ‘সৎ মানুষের খোঁজে’, ‘কাঁঠালবাগান’, ‘তৈল সংকট’, ‘এই নিষিদ্ধ পল্লীতে’, ‘নুরুলদীনের সারাজীবন’ও ‘কোপেনিকের ক্যাপ্টেন’।
তার অভিনীত আলোচিত নাটকের মধ্যে রয়েছে ‘আজ রবিবার’, ‘বহুব্রীহি’, ‘তথাপি’, ‘পাথর’ ও ‘দেয়াল’।
আলী যাকের ১৯৪৪ সালের ৬ নভেম্বর চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তার বাবা মুহাম্মদ তাহের ছিলেন উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা।
Comments