৫ রানেই ৪ শিকার মোস্তাফিজের, একশোর নিচে কুপোকাত সাকিবরা
টুর্নামেন্ট শুরুর আগে সেরা দলের তকমা ছিল তাদের গায়ে। কিন্তু জেমকন খুলনা মাঠে নামার পর মিলছে ভিন্ন ছবি। আগের দুই ম্যাচের মতো আবার ব্যাটিং ধসের ধারাবাহিকতা রেখেছে সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহর দল।
এবার গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের বিপক্ষে একশো রানও করতে পারেনি তারা। মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খুলনা গুটিয়ে যায় মাত্র ৮৬ রান। খুলনাকে ধসিয়ে দিতে অফ স্পিনার নাহিদুল ইসলাম ১৫ রানে নিয়েছেন ২ উইকেট। শেষ দিকটা মুড়ে মোস্তাফিজুর রহমান মাত্র ৫ রান দিয়েই শিকার করেছেন ৪ ব্যাটসম্যান।
শনিবার দিনের প্রথম ম্যাচে উইকেট ছিল বেশ ভালই। তবে টস হেরে খুলনার জন্য সেটাই হয়ে গেল কঠিন দুর্গ।
নাহিদুলের অফ স্পিন যেন হয়ে গেল নায়ান লায়নের ঘূর্ণি। তার বলেই তালগোল পাকিয়ে শুরুতে খুলনা হারাতে থাকল একের পর এক উইকেট। শুরুটা অবশ্য রান আউটে। এনামুল হক বিজয়ের সঙ্গে ইনিংস ওপেন করতে নেমেছিলেন সাকিব। এনামুলকে ভুল কলে ডেকে রান আউট করান তিনি। নিজেও পোষাতে পারেননি এই ক্ষতি। নাহিদুলের আরেক ওভারে উড়াতে গিয়ে মিড অনই পার করতে না পেরে বিদায় নেন ৩ রান করে।
ওই ওভারেই মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও নেই। খুলনা অধিনায়ক নাহিদের সোজা বল ক্রস করতে গিয়ে ব্যাটে পাননি। সহজ এলবিডব্লিও দিতে ভুল হয়নি আম্পায়ারের।
শরিফুলের বলে শুরুতে ধুঁকলেও পরে সামলে নিয়ে ইমরুল কায়েস দলের রানার চাকা চালু রাখছিলেন। তবে টপটপ উইকেট পড়ায় বেড়ে যায় চাপ। গুটিয়ে যান ইমরুলও। জহুরুল ইসলামকে নিয়ে একটা জুটি গড়ে উঠতে গিয়েও ডানা মেলতে পারেনি। তাইজুল ইসলামের স্পিনে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে হয়েছেন স্টাম্পিং।
ইমরুলও শিকার তাইজুলের। স্লগ করতে গিয়ে মিড উইকেটে ধরা পড়ে ২৬ বলে ২১ রান করে ফেরেন তিনি। আগের দুই ম্যাচে খুলনার বিপর্যয়ে জুটি বেধেছিলেন আরিফুল হক আর শামীম পাটোয়ারি। এবার জমল না তাও। সাতে নামা শামীম শিকার মোস্তাফিজের। ৭৩ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে বসে খুলনা। ইনিংসেরও তখন পেরিয়ে গেছে ১৩ ওভারের খেলা। আগের দুই ম্যাচে রান পাওয়া আরিফুলের দিকে তাকিয়ে ছিল তারা। এবার আর আরিফুলও উদ্ধার করতে পারেননি দলকে। ৩০ বলে ১৫ করে ১৮তম ওভারে তিনি ক্যাচ দেন মোস্তাফিজের বলে। বাকিরা সামলাতে পারেননি মোস্তাফিজকে। টপাটপ উইকেট নিয়ে চট্টগ্রামের সেরা পেসার গুটিয়ে দেন ইনিংস।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
জেমকন খুলনা: ১৭.৪ ওভারে ৮৬ (এনামুল ৬, সাকিব ৩, ইমরুল ২১ , মাহমুদউল্লাহ ১, জহুরুল ১৪ , আরিফুল ১৫, শামীম ১১, শহিদুল ৫ , রিশাদ ০, হাসান ১ , আল-আমিন ০* ; নাহিদুল ২/১৫ , শরিফুল ০/১৯ , মোস্তাফিজ ৪/৫, তাইজুল ২/৩০ , মোসাদ্দেক ০/৯, সৌম্য ০/৬)
Comments