নেতৃত্বহীন আমেরিকা, শীতে আরও বিস্তৃত করোনাভাইরাস
করোনা সংক্রমণ কিংবা মৃত্যু, কোনো হিসাবেই আমেরিকার চেয়ে এগিয়ে নেই অন্য কোনো দেশ। সংখ্যার হিসাবে সবচেয়ে কাছে থাকা ভারতের মোট সংক্রমণ সংখ্যা আমেরিকার চেয়ে প্রায় অর্ধ কোটি কম।
সম্প্রতি হয়ে যাওয়া মার্কিন নির্বাচনের পরে এখন সময় ক্ষমতার পালাবদলের। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হাত থেকে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের হাতে দায়িত্ব তুলে দেওয়া এখন সময়ের অপেক্ষা মাত্র। এই পরিস্থিতিতে সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হোয়াইট হাউস উদাসীন এবং কংগ্রেস অচল। কেননা, কোনো রাজনৈতিক নেতৃত্ব বা সিদ্ধান্ত আসছে না।
আর এমন নেতৃত্বহীন পরিস্থিতির মধ্যেই আমেরিকায় আসছে শীতকাল। এই শীতে করোনায় সংক্রমণ ও মৃত্যুর পাশাপাশি দেশটিতে বেকারের সংখ্যাও অনেক বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দায়িত্ব নিয়েই দ্রুত কাজ শুরু করার জন্য একটি অভিজ্ঞ টিম সাজিয়ে নিচ্ছেন। আশা করা যাচ্ছে, এই সপ্তাহেই তিনি শীর্ষস্থানীয় অর্থনৈতিক কর্মকর্তাদের নাম ঘোষণা করবেন। দায়িত্ব পাওয়ার পর তিনি মাস্ক পড়া বাধ্যতামূলকসহ করোনা সংক্রমণ রোধে আরও বেশ কিছু ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন বিভিন্ন সময়। কিন্তু, বাইডেন তার ঘোষিত স্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক পরিকল্পনার সবই করতে পারবেন ২০২১ সালের ২০ জানুয়ারির পর। কেননা মার্কিন সংবিধান অনুযায়ী ঐ দিনই তার দায়িত্ব গ্রহণের কথা রয়েছে। এর আগ পর্যন্ত আমেরিকাকে থাকতে হবে এমন রাজনৈতিক নেতৃত্বহীন অবস্থার মধ্যেই। যা দেশটির চলমান এই করোনা সঙ্কট আরও বাড়িয়ে তুলবে।
সঙ্কট মোকাবিলার চেয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বেশি ব্যস্ত সময় পার করছেন সম্প্রতি হয়ে যাওয়া নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে। আজ সোমবার ফক্স নিউজ জানিয়েছে, নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে এখনও মেনে না নিয়ে ট্রাম্প বলেছেন, তিনি বিশ্বাস করেন— নির্বাচনে ‘কারচুপি’ হয়েছে।
কোভিড রোগীদের চিকিত্সা দিচ্ছেন ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি বিভাগের চিকিত্সক ডা. মেগান রনি। গতকাল রোববার তিনি সিএনএনকে বলেন, রাজনৈতিক ব্যর্থতার কারণেই আমেরিকার হাসপাতালগুলোতে বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী এবং পরীক্ষা সামগ্রীর সরবরাহ বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার কথা কয়েক মাস ধরে বলছি। এগুলো এই মূহুর্তে আমাদের খুব বেশি দরকার। এখন যা আছে তা পর্যাপ্ত হলেও সমস্যা হলো কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা এতটাই বেশি বাড়ছে যে, হাসপাতালগুলোতে উপচে পড়া ভিড়, শয্যা খালি নেই এবং সর্বোপরি এতো রোগী সামলানোর জন্য চিকিৎসা কর্মীর সংখ্যা কম হয়ে যাচ্ছে।’
Comments