২০-৩০ রানে আউট হওয়া অপরাধ: তামিম
নাগালের মধ্যে থাকা রান তাড়ায় ভালো শুরু করেছিলেন তামিম ইকবাল। খেলছিলেন আস্থার সঙ্গে। কিন্তু থিতু হয়েও মাঝপথে বাজে শটে বিদায় নেন তিনি। থিতু হয়ে যাওয়া আফিফ হোসেনও কাজটা শেষ করতে পারেননি। ফরচুন বরিশালের হারের পেছনে নিজেদের দায় দেখছেন অধিনায়ক তামিম। তার মতে টি-টোয়েন্টিতে ২০-৩০ রানে আউট হওয়া একটা অপরাধ।
সোমবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুই দলের ব্যাটসম্যানরাই মিস করেছেন অনেক সুযোগ। সম্ভাবনাময় একাধিক ইনিংসের অসময়ে থেমে যাওয়ায় পথ হারাতে বসেছিল গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম। যদিও শেষ দিকে সৈকত আলির ঝড়ে তারা পেরুয় দেড়শো। ওই রান নিতে গিয়ে ১৪২ রানে আটকে যেতে হয়েছে তামিমদের। তিন ম্যাচে পেতে হয়েছে দ্বিতীয় হারের স্বাদ।
রান তাড়ায় অধিনায়ক তামিম ৩২ বলে করেন ৩২ রান। ১ চার, ২ ছক্কা মারলেও স্ট্রাইকরেট ছাড়ায়নি একশো। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের বলে তিনি লং অফে দেন সহজ ক্যাচ। আফিফ হোসেন বোল্ড হন ২২ বলে ২৪ রান করে।
ব্যাটিং অর্ডারে অভিজ্ঞতার ঘাটতি থাকায় তামিম মনে করেন দায়িত্ব নেওয়া উচিত ছিল তাদের দুজনের। ম্যাচ শেষে তাই হতাশা ঝরেছে ফরচুন বরিশাল অধিনায়কের কণ্ঠে, ‘আমার মনে হয় ২০-৩০ রানে আউট হওয়া একটা অপরাধ, বিশেষত টি-টোয়েন্টিতে। কারণ আমরা উইকেট চেনার জন্য যথেষ্ট বল খেলেছি। এটা ব্যাটিংয়ের জন্য খুব ভালো উইকেট ছিল না। কিন্তু আমার মনে হয় আমার বা আফিফের যেকোনো একজনের ম্যাচ শেষ করে আসা উচিত ছিল। আমাদের যে দল আমি এবং আফিফ কিছুটা অভিজ্ঞ আমাদের দায়িত্ব নিয়ে ম্যাচটা জেতানো উচিত ছিল।’
উইকেটে তেমন অসমান কোন বাউন্সের দেখা মিলেনি। ব্যাটে বল আসছিল ভালোভাবেই। তামিম তবু সমস্যা দেখছেন বাইশ গজে। বোলারদের ১৫ রান বেশি দেওয়াতেও দেখছেন দায়, ‘আমার মনে হয় তারা খুব ভালো শুরু করেছিল। এরপর আমরা ফিরে এসেছি খুব ভালোভাবে। ব্যাটিংয়ের জন্য খুব ভালো উইকেট না। দিনশেষে ১৫ রান আমরা বেশি দিয়েছি। ক্যাচ মিস হয়েছে যেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এরপর তিনটা ছক্কা ওভারে (আবু জায়েদ রাহির বলে সৈকত আলির তিন ছয়) । সেটার মূল্য দিতে হয়েছে আমাদের।’
Comments