টুইটারে ‘অবমাননাকর’ ছবি, চীনকে ক্ষমা চাইতে বলল অস্ট্রেলিয়া

চীনের সরকারি টুইটার অ্যাকাউন্টে একটি ছবি পোস্ট করাকে কেন্দ্র করে অস্ট্রেলিয়া ও চীনের মধ্যে রাজনৈতিক বিরোধ বেড়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। ফাইল ফটো রয়টার্স

চীনের সরকারি টুইটার অ্যাকাউন্টে একটি ছবি পোস্ট করাকে কেন্দ্র করে অস্ট্রেলিয়া ও চীনের মধ্যে রাজনৈতিক বিরোধ বেড়েছে।

একজন অস্ট্রেলীয় সেনা একটি আফগান কিশোরকে হত্যা করছে এ ধরনের একটি ‘মিথ্যা’ ও ‘অবমাননাকর’ ছবি প্রকাশের ঘটনায় বেইজিংয়ের লজ্জিত হওয়া উচিত ও ক্ষমা চাওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন।

একই সঙ্গে দ্রুত এই ছবি সরিয়ে নেওয়ার কথাও বলেছেন তিনি।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, আফগানিস্তানে বেসামরিক মানুষ ও বন্দি হত্যার অভিযোগে অস্ট্রেলীয় সেনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে বলে ছবিতে উল্লেখ করা হয়।

এ মাসের শুরুতে একটি প্রতিবেদনে বলা হয় ২০০৯ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে ২৫ জন অস্ট্রেলীয় সেনা ৩৯ জন আফগান বেসামরিক নাগরিক ও বন্দি হত্যায় জড়িত ছিল বলে ‘নির্ভরযোগ্য তথ্য’ পেয়েছে।   

অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা বাহিনীর (এএফডি) তদন্তে বেরিয়ে আসা এই তথ্য ব্যাপক সমালোচনা তৈরি করে। এবং এটি এখন পুলিশ তদন্ত করছে।

অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন অবশ্য জানিয়েছে যে এডিএফের প্রতিবেদনে এই অভিযোগগুলো প্রমাণিত হয়নি।

তবে অবৈধ হত্যার 'বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ' ও এলিট ইউনিটের মধ্যে 'যুদ্ধংদেহী সংস্কৃতি' খুঁজে পেয়েছে তারা।

এদিকে, অস্ট্রেলিয়া টুইটারকে ওই পোস্ট সরিয়ে নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেন, 'এ জন্য চীন সরকারের লজ্জিত হওয়া উচিৎ। এতে বিশ্বের চোখে তারা নিজেরাই ছোট হচ্ছে।'

'ছবিটা বানোয়াট এবং আমাদের প্রতিরক্ষা বাহিনীর জন্য অপমানজনক,' যোগ করেন তিনি।

তিনি জানান, অস্ট্রেলিয়ায় যুদ্ধাপরাধের তদন্তের জন্য স্বচ্ছ কাঠামো আছে, যা একটি 'উদার গণতান্ত্রিক' দেশে থাকে। 

দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা আছে স্বীকার করে মরিসন বলেন, 'কিন্তু, এটা এভাবে প্রকাশ করা ঠিক না।'

Comments

The Daily Star  | English

Fashion brands face criticism for failure to protect labour rights in Bangladesh

Fashion brands, including H&M and Zara, are facing criticism over their lack of action to protect workers' basic rights in Bangladesh, according to Clean Clothes Campaign (CCC)..One year after a violent crackdown by state actors and employers against Bangladeshi garment workers protesting

7m ago