ভ্যাকসিন নিরাপদ, স্বেচ্ছাসেবকের ঘটনার সঙ্গে ভ্যাকসিনের সম্পর্ক নেই: সেরাম

অক্সফোর্ডের করোনা ভ্যাকসিন অ্যাস্ট্রাজেনেকার উৎপাদনকারী অংশীদার দ্য সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া (এসআইআই) জানিয়েছে তাদের ভ্যাকসিন সম্পূর্ণ নিরাপদ। ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে একজন স্বেচ্ছাসেবক যে দাবি করেছেন তার সঙ্গে ভ্যাকসিন নেওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই।

ওই স্বেচ্ছাসেবক দাবি করেছিলেন, ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে ভ্যাকসিন গ্রহণের পর গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে তার শরীরে।

গত ৫ নভেম্বর বাংলাদেশ সরকার ৩ কোটি ডোজ করোনা ভ্যাকসিন কেনার জন্য এআইআই ও বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটিডের সঙ্গে একটি ত্রিপাক্ষিক সমঝোতা সই করেছে।

এসআইআই এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে সব নিয়ম ও গাইডলাইন মানা হয়েছে। তথ্য ও নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ বোর্ড (ডিএসএমবি) এর প্রধান তদন্তকারী এবং এথিকস কমিটি জানিয়েছে, স্বেচ্ছাসেবকের দাবির সঙ্গে ভ্যাকসিনের কোনো সম্পর্ক নেই।

ভারতের চেন্নাইয়ে ওই স্বেচ্ছাসেবককে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে এসআইআই।

৪০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি ট্রায়ালের ফলে স্নায়বিক দুর্বলতা ও কগনিটিভ অবনতির দাবি করে, ক্ষতিপূরণ হিসেবে পাঁচ কোটি টাকা চেয়ে এবং ট্রায়াল স্থগিতের আবেদন করে এসআইআইয়ের বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন।

সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া ওই স্বেচ্ছাসেবীর বিরুদ্ধে ১০০ কোটি রুপি মানহানির মামলা করেছে। আইনি নোটিশের পক্ষে তারা জানায়, 'অন্যায়ভাবে প্রতিষ্ঠানটিকে অপবাদ দেওয়া হচ্ছে, প্রতিষ্ঠানটির সুনাম রক্ষার্থে নোটিশটি পাঠানো হয়েছে।'

ট্রায়ালের বিষয়ে স্বেচ্ছাসেবকদের ভয় নিয়ে বিশেষজ্ঞদের উদ্বেগ প্রকাশ করার পর, এসআইআই আইনি নোটিশটি জারি করে। ভবিষ্যতে ট্রায়ালে অংশ নিতে স্বেচ্ছাসেবকরা পিছিয়ে যেতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেন।

ভারতের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানায়, এসআইআই এর ভ্যাকসিন ট্রায়ালে স্বেচ্ছাসেবকের ওপর গুরুতর বিরূপ প্রভাবের তদন্ত চালাচ্ছে তারা।

ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই) ঘটনাটি তদন্তের জন্য একটি প্রাতিষ্ঠানিক এথিকস কমিটিকে দায়িত্ব দিয়েছে।

সরকারি সংস্থা ইন্ডিয়ান মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিলের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ভ্যাকসিন ট্রায়ালে যে কোনও বিরূপ ঘটনার বিষয়ে 'ভ্যাকসিন সম্পর্কিত কিনা কিংবা কিসের জন্য' তা পরীক্ষা করা উচিত।