রিয়ালকে আবারো হারাল শাখতার
![](https://bangla.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/feature/images/shakhtar.jpg?itok=foA9PxTa×tamp=1606855663)
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সবচেয়ে সফল দল তারা। শক্তির বিচারেও শাখতার দোনেস্কের চেয়ে অনেক বেশি এগিয়ে রিয়াল মাদ্রিদ। কিন্তু তারপরও দলটির কাছে কুলিয়ে উঠতে পারলো না স্পেনের ক্লাবটি। আগের মোকাবেলাতেও তাদের কাছে হেরে গিয়েছিল লস ব্লাঙ্কোসরা।
কিয়েভের এনএসকে অলিম্পিস কিজে মঙ্গলবার 'বি' গ্রুপের ম্যাচে শাখতার দোনেস্কের কাছে ২-০ গোলের ব্যবধানে হেরে গেছে জিনেদিন জিদানের দল। রিয়ালের আক্রমণ সামলে দারুণ দুটি পাল্টা আক্রমণে গোল আদায় করে ম্যাচ জিতে নেয় ইউক্রেনের দলটিই।
এর আগে রিয়ালের মাঠে চোট ও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত থাকায় প্রথম লেগের ম্যাচে শাখতারের নিয়মিত একাদশের ১০ জন খেলোয়াড়ই ছিল বাইরে। একাডেমীর খেলোয়াড়দের নিয়ে গড়া একাদশ দিয়েই ৩-২ গোলের জয় নিয়ে ফিরেছিল ইউক্রেনের দলটি।
প্রতিপক্ষের মাঠে এদিন ম্যাচ জিতলেই নকআউট পর্ব নিশ্চিত হবে, এমন সমীকরণ নিয়েই এদিন মাঠে নেমেছিল রিয়াল। পাশাপাশি প্রথম লেগে হারের প্রতিশোধ নেওয়ার ব্যাপারটিও ছিল। কিন্তু মাঠের লড়াইয়ে উল্টো হেরে যায় দলটি। নিজেদের ভুলে প্রথম গোল খাওয়ার পর তা শোধ করতে মরিয়া দলটি অলআউট খেলতে হজম করেছে আরও একটি গোল।
ম্যাচের প্রথম ৫০ মিনিট প্রায় একক আধিপত্যই দেখায় রিয়াল। দারুণ কিছু সুযোগও তৈরি করে। কিন্তু ম্যাচের ৫৭তম মিনিটে যেন খেই হারিয়ে বসে রিয়ালের ডিফেন্ডাররা। পাল্টা আক্রমণ থেকে সতীর্থের বাড়ানো বল ঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেননি মার্লোস। তার পায়ে লেগে ডি-বক্সে নিজের লক্ষ্যসীমার বাইরেই পড়ে বল। চাইলেই বল পরিষ্কার করতে পারতেন আশে পাশে থাকা রিয়ালের তিন ডিফেন্ডার। কিন্তু কেউই বল ধরতে এগিয়ে আসেননি। উল্টো ফাঁকায় ঢুকে যান দেনতিনহো। গোলরক্ষককে একা পেয়ে লক্ষ্যভেদ করতে কোনো ভুল হয়নি এ ব্রাজিলিয়ানের।
আর ম্যাচের ৮১তম মিনিটে দ্বিতীয় গোল হজম করে রিয়াল। গোল শোধ করতে মরিয়া দলটি শাখতার শিবিরে বেশ চাপ সৃষ্টি করেছিল। তবে পাল্টা আক্রমণ থেকে গোল আদায় করে নেয় ইউক্রেনের দলটি। নিজেদের অর্ধ থেকে মাইকনের বাড়ানো বল ধরে একক দক্ষতায় এগিয়ে এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে অসাধারণ এক কোণাকোণি শটে লক্ষ্যভেদ করেন মানোর সলোমন।
তবে শাখতার শিবিরে এদিন ১৮টি শট নিতে পারলেও ভীতি ছড়াতে খুব কমই পেরেছে রিয়াল। তবে ম্যাচের চতুর্থ এগিয়ে যেতে পারতো তারা। বাঁ প্রান্ত থেকে করিম বেনজেমার পাসে আসেনসিওর শট বারপোস্টে লেগে ফেরত আসে। একাদশ মিনিটেও সুযোগ ছিল। কিন্তু ফাঁকায় থেকে বেনজেমার জোরালো শট ঠেকিয়ে শাখতার গোলরক্ষক আনাতল্লি ত্রুবিনের বরাবর থাকায় ধরতে ঠেকাতে খুব বেশি বেগ পেতে হয়নি। এছাড়া লক্ষ্যে থাকা বাকি সব শট ধরতেও ত্রুবিনের বড় কোনো পরীক্ষা দিতে হয়নি।
এই হারে গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকে পড়ার শঙ্কায় পড়ে রেকর্ড ১৩ বারের চ্যাম্পিয়নরা। পয়েন্ট টেবিলে তিন নম্বরে নেমে গেছে দলটি। পাঁচ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৭। সমান পয়েন্ট শাখতারেরও। তবে মুখোমুখি লড়াইয়ে এগিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে তারা।
Comments