বাউফলে প্রবাহমান খাল ভরাট করে সড়ক নির্মাণ, বিপাকে কৃষক
পটুয়াখালীর বাউফল পৌরসভার কাগজিরপুল এলাকায় প্রবাহমান খালের একাংশ ভরাট করে সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, পৌর কর্তৃপক্ষ অপরিকল্পিতভাবে সড়কটি নির্মাণ করেছে। এতে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ। প্রতি বর্ষায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন কয়েক হাজার মানুষ। বেশি বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জলবায়ু প্রকল্পের আওতায় প্রায় এক কোটি টাকা ব্যয়ে ২০১৩-১৪ অর্থবছরে বাউফল পৌর কর্তৃপক্ষ সড়কটি নির্মাণ করে। খালের একাংশ ভরাট করে প্রতিরক্ষা দেয়াল তুলে সড়কটি নির্মাণ করা হয়।
কাজের মান নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। প্রতিরক্ষা দেয়াল ভেঙে পড়ায় ইতোমধ্যে সড়কে ফাটল ধরেছে।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, খালের মধ্যে দিয়ে সড়ক নির্মাণ করায় পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়েছে। পলি জমে খালটি ভরাট হয়ে যাচ্ছে। বর্ষা মৌসুমে জোয়ার ও বন্যার পানি ঢুকে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় ফসল নষ্ট হচ্ছে। শুকনো মৌসুমে খালে পানি না থাকায় চাষ করা কঠিন হচ্ছে।
এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে স্থানীয় চার বাসিন্দা সোলায়মান, আজাহার, সেলিম ও গণেশ গত ১৭ নভেম্বর পানি সম্পদমন্ত্রী বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কউন্সিলর মো. বাবুল ও পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী মো. আতিকুল ইসলাম খালের একাংশ ভরাট করে সড়কটি নির্মাণ করেছেন।
সোলায়মান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘খালটিতে আবারও প্রাণ ফিরিয়ে আনতে অপরিকল্পিত সড়কটি অপসারণ করা দরকার।’
এ বিষয়ে বাউফল পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘আসলে খালটি ভরাট কিংবা দখল করে সড়ক নির্মাণ করা হয়নি। খালের তীরে প্রতিরক্ষা বাঁধ দিয়ে জনস্বার্থে সড়কটি নির্মাণ করা হয়েছে।’
কাউন্সিলর মো. বাবুল বলেন, ‘খালটি সরেজমিনে বড় হয়ে গেছে। আসলে কাগজে-কলমে আরও ছোট। সড়ক নির্মাণের ফলে খালের স্বাভাবিক পানি প্রবাহে কোনো সমস্যা হয়নি।’
বাউফল উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আনিচুর রহমান বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
Comments