৩ বছর পর ৫০ হাজার টন চাল আমদানি করছে সরকার
তিন বছর পরে ৫০ হাজার টন চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ বুধবার ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি চাল আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন করে।
ভারতীয় কোম্পানি এগ্রিলিংক পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বীরভূম জেলা থেকে এই চাল সরবরাহ করবে। প্রতি কেজি চাল আমদানিতে খরচ হবে ৩৫ দশমিক ২৭ টাকা।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ফুড প্ল্যানিং অ্যান্ড মনিটরিং ইউনিটের তথ্য অনুযায়ী, দেশে রেকর্ড পরিমাণ খাদ্যশস্য উৎপাদনের পরও গত এক বছরে খাদ্য মজুদ অর্ধেক কমে গেছে। বোরো মৌসুমে ধান-চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন না হওয়া এবং চলমান মহামারি ও মহামারির মধ্যে কয়েক দফা বন্যার কারণে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। গত বছর ১ জুলাই সরকারের হাতে খাদ্য মজুদ ছিল ১৬ দশমিক ৭৪ লাখ টন। এক বছরে তা কমে ১১ দশমিক ৮৮ লাখ টনে দাঁড়িয়েছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাবে গত অর্থবছরে দেশে ধান ও গম উৎপন্ন হয়েছিল তিন দশমিক ৭৬ কোটি টন। যা এর আগের অর্থবছরের তুলনায় শূন্য দশমিক ৪৫ শতাংশ বেশি। অর্থবছর ২০১৯ এ প্রবৃদ্ধি ছিল মাত্র শূন্য দশমিক ০৪ শতাংশ।
সরকারের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থ হওয়ার মূল কারণ ছিল বোরো ধান ও চালের দাম উৎপাদন খরচের চেয়ে কম ধার্য করা। অথচ, সে সময় খোলা বাজারে ধানের দাম ছিল বেশি।
Comments