ওমানে গভীর কূপে নেমে ২ ভাইসহ ৩ বাংলাদেশির মৃত্যু
ওমানে গভীর কূপে নেমে দুই ভাইসহ তিন বাংলাদেশি শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় দুপুর ১২টার দিকে ওমানের জালান জেলার আলওয়াফি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হচ্ছেন- নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চর আমানউল্যা ইউনিয়নের সাতাশদ্রোন গ্রামের মো. মোস্তফা (৫০) ও তার ভাই নাসির উদ্দিন (৪০)। তারা ওই গ্রামের হাজী ফকরুল ইসলামের ছেলে। অপরজন হচ্ছেন একই উপজেলার পূর্ব চর বাটা ইউনিয়নের হাজীপুর গ্রামের মো. আলমগীর হোসেন (৩৮) তিনি ওই গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে।
আজ বুধবার নিহত আলমগীর হোসেনের চাচা রফিক উল্যাহ মাস্টার দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
আলমগীরের স্বজন ওমান প্রবাসী মো. সালাউদ্দিন গতকাল দুপুরে নিহতদের পরিবারকে তিন জনের মৃত্যুর খবর পাঠান বলে জানান রফিক উল্যাহ মাস্টার।
নিহত দুই ভাইয়ের স্বজন জিয়া উদ্দিন ফারুক জানান, গোলাম মোস্তফা (৫০) জীবিকার সন্ধানে ২০ বছর আগে ওমানের জালান জেলার আল ওয়াফি এলাকায় কাজ করতে যান। পাঁচ বছর পর তিনি ছোট ভাই নাসির উদ্দিনকেও তার কাছে নিয়ে যান। তারা দুই ভাই বিদ্যুৎ মিস্ত্রী হিসাবে একটি কোম্পানিতে চাকরি করতেন। গত আট বছর আগে একই উপজেলার হাজীপুর গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে আলমগীর হোসেনকেও তারা ওমান নিয়ে যান। তারা তিন জনই একসঙ্গে কাজ করতেন এবং বসবাস করতেন।
নিহত আলমগীর হোসেনের চাচা রফিক উল্যাহ মাস্টার বলেন, ‘গভীর কূপের ভিতরের অবস্থা জানতে প্রথমে আলমগীর হোসেন কূপের মধ্যে নামেন। তবে, অনেক সময় পেরিয়ে গেলেও তিনি কূপ থেকে উঠে আসেননি। পরে গোলাম মোস্তফা আলমগীরের সন্ধানে কূপে নামেন। দীর্ঘ সময় ধরে তারও কোনো সাড়া না পেয়ে নাসির উদ্দিন কুপে নামেন। তবে, সেখান থেকে তাদের কেউ ফিরে না আসায় সহকর্মীরা বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষকে জানান। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে গোলাম মোস্তফা, নাসির উদ্দিন ও আলমগীর হোসেনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন। নিহতদের মরদেহ ওমানের একটি হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।’
নিহত মোস্তফা ও নাসিরের বড় ভাই ওমান প্রবাসী ইব্রাহিম খলিল জানান, তাদের ধারণা কূপের মধ্যে বিষাক্ত গ্যাসে তারা তিন জন মারা গেছেন।
তবে, কেউ কেউ বলছেন কূপের ভিতর মোটরের বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে গিয়ে বিদ্যুতায়িত হয়ে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে, মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যায়নি।
চরজব্বর থানার ওসি জিয়াউল হক তালুকদার বলেন, ‘ওমানে তিন বাংলাদেশির কূপে নেমে মারা যাওয়ার বিষয়টি আমি স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের মাধ্যমে জানতে পেরেছি।’
Comments