১০ বছরে পারিবারিক সহিংসতা আইনে মামলা হয়নি

পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন ২০১০ সালে প্রণীত হলেও দেশের অনেক জেলায় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গত ১০ বছরে এই আইনের অধীনে কোনো মামলা হয়নি।
violence
ছবি: স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন ২০১০ সালে প্রণীত হলেও দেশের অনেক জেলায় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গত ১০ বছরে এই আইনের অধীনে কোনো মামলা হয়নি।

একশন এইড বাংলাদেশ ও দৈনিক প্রথম আলোর যৌথ উদ্যোগে আজ ১৬ দিন ব্যাপী নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ২০২০ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে এই তথ্য তুলে ধরা হয়। একশন এইড গত অক্টোবর মাসে আইনটির প্রয়োগ নিয়ে এই সমীক্ষা পরিচালনা করে।

‘নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধ করুন, এখনই!’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ পালন করছে বেসরকারি এই উন্নয়ন সংস্থাটি।

আজকের গোলটেবিল বৈঠকের প্রধান আলোচক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও সমীক্ষায় নেতৃত্বদানকারী তাসলিমা ইয়াসমিন বলেন, পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইনটির দুর্বল প্রয়োগের পেছনে সংশ্লিষ্ট আইন সম্পর্কে প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর মধ্যে সচেতনতার ঘাটতি রয়েছে। এই আইনে পারিবারিক সম্পর্কের সংজ্ঞায় ভুক্তভোগী নারীর বিয়ে-বিচ্ছেদ হয়ে গেলে তাকে অন্তর্ভুক্ত করে না এবং এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে নিপীড়ক স্বামীরা সহজেই আইনের ফাঁক গলে বের হয়ে যায়।

বৈঠকে উপস্থিত জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগম বলেন, নারীরা যদি সচেতন না হয়, শুধুই আপোষ করে চলে তাহলে নারী নির্যাতন কমবে না। আবার পারিবারিক সম্মানের কথা চিন্তা করেও অনেকে মামলা করতে চান না।

প্রত্যেক জেলায় মানবাধিকার কমিশনের শাখা থাকার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে আরমা দত্ত বলেন, প্রত্যেক মন্ত্রণালয়ের স্ট্যান্ডিং কমিটি আছে। সেখানে সিভিল সোসাইটিসহ উন্নয়ন সংস্থাকে যুক্ত করে কাজ করলে নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ করা সম্ভব।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সারা হোসেন বলেন, পারিবারিক সহিংসতা আইনের সংশোধনীর পাশাপাশি আইন প্রয়োগকারীদের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা জরুরি।

এছাড়াও গোলটেবিল বৈঠকে আরও বক্তব্য রাখেন একশন এইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির, রিসার্চ ইনিশিয়েটিভ বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক মেঘনা গুহঠাকুর, স্বাবলম্বী উন্নয়ন সমিতির ম্যানেজার কোহিনূর বেগম, সাংবাদিক শাহনাজ মুন্নী ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের স্পেশাল পুলিশ সুপার রুমানা আক্তার।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

8h ago