শেষ ম্যাচ জিতে হোয়াইটওয়াশ এড়াল ভারত

Hardik Pandya
ছবি: ফিরোজ আহমেদ
আগের দুই ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে চাড়শো ছুঁইছুঁই রান করেছিল অস্ট্রেলিয়া। দুই ম্যাচেই ঝড়ো সেঞ্চুরি করেছিলেন স্টিভেন স্মিথ। শেষ ম্যাচে শুরুতে ব্যাটিং পেল ভারত। অধিনায়ক বিরাট কোহলি ফিফটিতে স্পর্শ করলেন  দ্রুততম ১২ হাজারের মাইলফলক, বিপর্যয়ে উত্তাল হলেন হার্দিক পান্ডিয়া-রবীন্দ্র জাদেজা। রান তাড়ায় এবার নিষ্প্রভ থাকলেন স্মিথ। ভারত তাই পেল সান্ত্বনার জয়। 
 
ক্যানেবেরায় তিন ফিফটিতে ভারত করেছিল ৩০২ রান। অ্যারন ফিঞ্চ, গ্ল্যান ম্যাক্সওয়েল জ্বলে উঠলেও শেষ পর্যন্ত স্বাগতিকরা থেমেছে  ২৮৯ রানে।  তিন ম্যাচ সিরিজ অসিরা আগেই জিতে যাওয়ায় ভারতের ১৩ রানের জয় তাই হয়ে থাকল স্বান্তনা। 
 
টস জিতে মায়াঙ্ক আগারওয়ালকে বসিয়ে শেখর ধাওয়ানের সঙ্গে শুভমান গিলকে ওপেন করতে দিয়েছিল ভারত। শেখর শুরুতে ফিরে যাওয়ার পর এই তরুণ কোহলির সঙ্গে পেয়েছেন ভাল জুটি। দ্বিতীয় উইকেটে ৫৬ রানের জুটির পর ৩৯ বলে ৩৩ করে ফেরেন গিল। 
 
শ্রেয়াস আইয়ারকে নিয়ে এগুচ্ছিলেন কোহলি। ২৩ রানে পৌঁছেই ওয়ানডেতে দ্রুততম ১২ হাজার রান করায় ছাড়িয়ে যান শচীন টেন্ডুলকারকে। কিন্তু অধিনায়ককে সঙ্গ দিতে পারেননি আইয়ার। লোকেশ রাহুলও ফেরেন তড়িঘড়ি। 
 
ফিফটি পেরিয়ে জস হেইজেলউডের বলে থেমে যায় কোহলির ইনিংসও। ৭৮ বলে ৬৩ করে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিন কোহলি। শুরুতে বোঝা না গেলেও দারুণ এক রিভিউ নিয়ে ভারত অধিনায়ককে থামিয়ে ম্যাচের লাগাম নিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। 
 
তবে ৬ষ্ঠ উইকেটে ১৫০ রানের জুটিতে সেই লাগাম আবার নিজেদের দিকে আনেন পান্ডিয়া -জাদেজা। ৭৬ বলে ৭ চার, ১ ছক্কায় ৯২ করেন পান্ডিয়া। ৫৫ বলে ৫ চার, ৩ ছয়ে ৬৬ আসে জাদেজার ব্যাট থেকে।
 
৩০৩ রানের লক্ষ্যে ডেভিড ওয়ার্নারের জায়গায় ওপেন করতে নামা মারনাস লাবুশানকে প্রথমেই কাবু করে ভারত। অভিষিক্ত পেসার থাঙ্গানারাসু নটরাজনের বলে ৭ রান করে বোল্ড হন তিনি। ১৫ বলে ৭ করা স্মিথকে ছেঁটে ফেলেন শার্দুল ঠাকুর। 
 
ফিঞ্চ একপাশে ধরে রেখেছিলেন। কিন্তু মজেস হ্যানরিকস, ক্যামরন গ্রিনরা থিতু হয়েও টিকতে পারেননি। ৮২ বলে ৭৫ করা ফিঞ্চকে ফিরিয়ে বড় ব্রেক থ্রো পাইয়ে দেন জাদেজা। ফুটতে থাকা অ্যালেক্স ক্যারি কাটা পড়েন রান আউটে। 
 
আবারও জ্বলে উঠেছিলেন ম্যাক্সওয়েল। মূলত তিনিই অস্ট্রেলিয়াকে রেখেছিলেন ম্যাচে। দারুণ ডেলিভারিতে ৩৮ বলে ৫৯ করা ম্যাক্সওয়েলকে থামান জাসপ্রিট বোমরাহ। নটরাজন অ্যাস্টন অ্যাগারকে ছেঁটে নিলে অসিদের দ্রুত গুটিয়ে যাওয়ার পথ সুগম হয়ে যায়। জাম্পাকে বিদায় করে আনুষ্ঠানিকতা সারেন বোমরাহ। 
 

Comments

The Daily Star  | English

Beyond development paradox & unnayan without democracy

As Bangladesh seeks to recalibrate its path in the aftermath of recent upheavals, the time is ripe to revisit an oft-invoked but under-examined agenda: institutional reform. Institutions are crucial to understand, as they are foundational for governance, transformation, and economic development.

15h ago