চোখ ধাঁধানো লিটন, ঝড়ো সৌম্য-সৈকত

বুধবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৭৬ রান তুলেছে চট্টগ্রাম
Litton Das
ছবি: ফিরোজ আহমেদ
লিটন দাস ও সৌম্য সরকারের উদ্বোধনী জুটিতে উড়ন্ত শুরু পেল গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম। সৌম্যর আগ্রাসন থামাতে পারলেও লিটনকে কাবু করতে পারল না মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী। এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান চোখ ধাঁধানো ব্যাটিংয়ে তুলে নিলেন হাফসেঞ্চুরি। পরে তাকে যোগ্য সঙ্গ দিলেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। তাতে চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ দাঁড় করাল পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থাকা দলটি।
 
বুধবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৭৬ রান তুলেছে চট্টগ্রাম। চলমান বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে দলীয় সর্বোচ্চ ইনিংস এটি। লিটন দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭৮ রান করেন ৫৩ বলে। আসরের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস এটি। তার ইনিংসে ছিল ৯ চার ও ১ ছক্কা।
 
শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিং করেন সৌম্য ও লিটন। রাজশাহীর অফ স্পিনার শেখ মেহেদী হাসানের করা ইনিংসের প্রথম ওভার থেকে দুটি চার আদায় করে নেন বাঁহাতি সৌম্য। পেসার ইবাদত হোসেনের পরের ওভারে আরও দুটি চার মারেন তিনি।
 
এরপর লিটনও খোলেন হাত। দেখা মিলে তার ট্রেডমার্ক মোহনীয় সব শট।  তিনি আর সৌম্য মিলে ফরহাদ রেজার করা চতুর্থ ওভার থেকে তুলে নেন ১৯ রান। পাওয়ার প্লের ৬ ওভার শেষে চট্টগ্রামের সংগ্রহ দাঁড়ায় বিনা উইকেটে ৫৪ রান।
 
সীমানায় একবার জীবন পাওয়া সৌম্য ফেরেন অষ্টম ওভারে। মুকিদুল ইসলামকে মারতে গিয়ে তিনি ক্যাচ দেন আনিসুল ইসলাম ইমনের হাতে। তাতে ভাঙে ৬২ রানের উদ্বোধনী জুটি। সৌম্য ২৫ বলে ৩৪ রান করেন ৪ চার ও ২ ছক্কায়।
 
এরপর কিছুটা ছন্দপতন। অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। শামসুর রহমান সাজঘরে ফেরেন দ্রুত। ফলে একশো পার হওয়ার আগে ৩ উইকেট খুইয়ে ফেলে চট্টগ্রাম।
 
নান্দনিক ব্যাটিং করতে থাকা লিটন হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন মুখোমুখি হওয়া ৩৫তম ডেলিভারিতে। তিনি এক প্রান্তে ছন্দে থাকায় উইকেটে গিয়ে হাত খুলে মারার সুযোগ হয় মোসাদ্দেকের। তা হাতছাড়া করেননি তিনি।
 
চতুর্থ উইকেটে লিটন ও মোসাদ্দেক যোগ করেন ৪৪ বলে ৭২ রান। মুকিদুলের দ্বিতীয় শিকার হওয়ার আগে ৪২ রান করেন মোসাদ্দেক। তার ২৮ বলের ইনিংসে ছিল সমান ২টি করে চার ও ছক্কা।
 
ওপেনিং করতে নামা লিটন শেষ পর্যন্ত থাকেন অপরাজিত। ইনিংসের শেষ ওভারে মোসাদ্দেকের পর সৈকত আলীকে ফেরানো মুকিদুল রাজশাহীর সবচেয়ে সফল বোলার। এই পেসার ৪ ওভারে ৩০ রানে নেন ৩ উইকেট।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

7h ago