ভারতের সঙ্গে ভ্যাকসিন বিষয়ে আলোচনা চলছে: ফাইজার

যুক্তরাজ্য ফাইজার-বায়োএনটেকের তৈরি করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনকে জরুরি অনুমোদন দেওয়ার পরে ভারতেও ভ্যাকসিন নিয়ে আসার আগ্রহ দেখিয়েছে মার্কিন প্রতিষ্ঠান ফাইজার।
ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাজ্য ফাইজার-বায়োএনটেকের তৈরি করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনকে জরুরি অনুমোদন দেওয়ার পরে ভারতেও ভ্যাকসিন নিয়ে আসার আগ্রহ দেখিয়েছে মার্কিন প্রতিষ্ঠান ফাইজার।

টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, ফাইজারের তৈরি ভ্যাকসিন -৭০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হয়। তাই উষ্ণ তাপমাত্রার দেশ ভারতে এটি অনুমোদন ও বিতরণ বেশ চ্যালেঞ্জের।

তবে, সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে ভারতে ভ্যাকসিন নিয়ে আসার উপায় খুঁজছে ফাইজার।

ফাইজারের মুখপাত্র রোমা নায়ার বলেন, ‘আমরা ভারত সরকারের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর। আমরা প্রতিটি দেশের অবকাঠামোগত প্রয়োজনীয়তা বোঝার জন্য বিশ্বজুড়ে সরকারগুলোর সঙ্গে কাজ করছি। আমাদের ভ্যাকসিন বিতরণের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সরবরাহেরও পরিকল্পনা আছে। আমরা আত্মবিশ্বাসী যে ভারতে ভ্যাকসিন পাঠানোর কোনো না কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।’

এদিকে, জরুরি ভিত্তিতে করোনা ভ্যাকসিন পেতে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো অনেক দেশই ফাইজার-বায়োএনটেকের কাছে ভ্যাকসিনটির কয়েক মিলিয়ন ডোজ প্রি-অর্ডার করেছে। যুক্তরাষ্ট্র ১০ কোটি ও যুক্তরাজ্য ৪ কোটি ডোজ প্রি-অর্ডার করেছে। এছাড়াও, ইউরোপীয় ইউনিয়ন শুরুতে ১০ কোটি ও পরে আরও ২০ কোটি ভ্যাকসিনের ডোজ প্রি-অর্ডার করে।

ফাইজারের সঙ্গে ভারতের এখনও ভ্যাকসিনের জন্য কোনো প্রি-অর্ডার চুক্তি হয়নি।

অন্যদিকে, প্রতিটি ইনজেকশনে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ ডলার (২ হাজার ৯৫০ থেকে ৩ হাজার ৭০০ রুপি) পর্যন্ত খরচ হতে পারে, যা উন্নয়নশীল দেশগুলোর পক্ষে কেনা কঠিন।

এ প্রসঙ্গে আইসিএমআরের সাবেক মহাপরিচালক এন কে গাঙ্গুলি বলেন, ‘ফাইজারের ২০২১ সালের পুরো উৎপাদন ধনী দেশগুলো আগে থেকেই অর্ডার করে রেখেছে। ভারত কোনো প্রি-অর্ডার করেনি। এমনকি ভ্যাকসিন বিতরণের জন্য যে শীতাতপ অবকাঠামো প্রয়োজন সেটিও তৈরি করেনি। তাছাড়া ভ্যাকসিনটির জন্য যে খরচ লাগবে সেটিও ভারতের সামর্থ্যের বাইরে।’

তবে, যেসব দেশে জরুরি ভিত্তিতে ভ্যাকসিন প্রয়োজন তাদেরকে সহযোগিতা করতে সংস্থাটি কিছু পরিমাণ ডোজ সরবরাহের জন্য ভ্যাকসিন সংস্থা গ্যাভির সঙ্গে আলোচনা করছে বলে ফাইজারের এক কর্মকর্তা জানান।

তিনি বলেন, ‘শুকনো বরফ দিয়ে তৈরি আমাদের তাপমাত্রা-নিয়ন্ত্রিত শিপার ১০ দিন পর্যন্ত ভ্যাকসিন সংরক্ষণ করতে পারে। এর ফলে, ফাইজারের পরিবহন অংশীদারদের সহায়তায় একটি দেশ বা অঞ্চলের প্রধান কেন্দ্রগুলোতে উড়োজাহাজে কিংবা অন্যান্য যানবাহনের মাধ্যমেও ভ্যাকসিন পরিবহন করা যাবে।’

Comments

The Daily Star  | English

Floods cause Tk 14,421 crore damage in eastern Bangladesh: CPD study

The study highlighted that the damage represents 1.81 percent of the national budget for fiscal year (FY) 2024-25

1h ago