হ্যাটট্রিক করেও হেরে রোনালদো-বেলের পাশে বসলেন তিনি
হ্যাটট্রিক করেও মাঠ ছাড়তে হলো একরাশ আক্ষেপ আর হতাশা নিয়ে! কারণ, দল জেতা তো দূরের কথা, ড্র করতেও পারেনি। গেছে হেরেই। রোনালদো ও গ্যারেথ বেলের পর উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তৃতীয় ফুটবলার হিসেবে এমন তিক্ত অভিজ্ঞতা পেলেন ইস্তানবুল বাসাকসেহিরের মিডফিল্ডার ইরফান কাভেচি।
বুধবার রাতে ‘এইচ’ গ্রুপের ম্যাচে তুরস্কের ক্লাবটি নিজেদের মাঠে হেরে গেছে আরবি লাইপজিগের কাছে। কাভেচির অর্জনকে ম্লান করে সাত গোলের রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে ৪-৩ গোলে জিতেছে জার্মানির দলটি।
দুই গোলে পিছিয়ে পড়ার পর প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ম্যাচে নিজের প্রথম গোলটি করেন কাভেচি। তবে বিরতির পর আরেক গোল হজম করে বসে বাসাকসেহির। এরপর কাভেচির নৈপুণ্যে পয়েন্ট প্রাপ্তির আশা জাগিয়েছিল তারা। ৭২ ও ৮৫তম মিনিটে দুবার লক্ষ্যভেদ করে ম্যাচে সমতা টেনেছিলেন তিনি। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে জয়সূচক গোল পেয়ে যায় লাইপজিগ।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে হ্যাটট্রিক করেও হার নিয়ে মাঠ ছাড়া প্রথম খেলোয়াড় ছিলেন সাবেক ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার রোনালদো। এই কিংবদন্তির দল রিয়াল মাদ্রিদ ২০০৩ সালের এপ্রিলে পরাস্ত হয়েছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কাছে। এরপর ২০১০ সালের অক্টোবরে ওয়েলস ফরোয়ার্ড বেলের হ্যাটট্রিকের পরও টটেনহ্যাম হটস্পার হেরেছিল ইন্টার মিলানের বিপক্ষে।
লাইপজিগের বিপক্ষে কাভেচির তিনটি গোলই এসেছে ডি-বক্সের বাইরে থেকে। সবগুলো গোলই তিনি করেন বাঁ পায়ে জাদু দেখিয়ে। তার হ্যাটট্রিক পূর্ণ করা গোলটি ছিল চোখ ধাঁধানো। ২৫ বছর বয়সী এই ফুটবলারের অসাধারণ ফ্রি-কিক ক্রসবারের নিচের দিকে লেগে জড়ায় জালে। লাইপজিগ গোলরক্ষকের তাকিয়ে দেখে অভিভূত হওয়া ছাড়া আর কিছুই করার ছিল না।
ইউরোপের সেরা ক্লাব আসরে ডি-বক্সের বাইরে থেকে সবগুলো গোল করে হ্যাটট্রিক ছোঁয়া সবশেষ খেলোয়াড় ছিলেন ওয়েইন রুনি। ইউনাইটেডের সাবেক এই ফরোয়ার্ড ২০০৪ সালের সেপ্টেম্বরে ফেনারবাচেকে করে দিয়েছিলেন ছারখার। এমনকি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সেটাই ছিল তার অভিষেক ম্যাচ।
উল্লেখ্য, পাঁচ রাউন্ড শেষে ‘এইচ’ গ্রুপে ইউনাইটেড, পিএসজি ও লাইপজিগের পয়েন্ট সমান ৯ করে। গোল ব্যবধানে শীর্ষে আছে ইংলিশ ক্লাব ইউনাইটেড। পরের দুটি স্থানে রয়েছে যথাক্রমে পিএসজি ও লাইপজিগ। ৩ পয়েন্ট নিয়ে তলানিতে আছে প্রথমবারের মতো এই প্রতিযোগিতায় খেলতে আসা বাসাকসেহির।
Comments