পাবনা চিনিকল শ্রমিক-কর্মচারীদের বিক্ষোভ
অব্যাহত লোকসানের বোঝা থেকে বাঁচতে সরকার দেশের ১৫টি রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকলের মধ্যে ছয়টি চিনিকলের আখ মাড়াই বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে। হঠাৎ সরকারের এমন নির্দেশের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন পাবনা চিনিকলের শ্রমিক, কর্মচারী এবং আখ চাষিরা।
বিক্ষুব্ধ শ্রমিক-কর্মচারীরা আজ বৃহস্পতিবার মিলের সামনে আগুন জ্বালিয়ে ও পাবনা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। এ সময় পাবনা-রাজশাহী মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। তারা সরকারের এ নির্দেশ ফিরিয়ে নেয়ার দাবি জানিয়েছেন।
খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ নাসির উদ্দিন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘শ্রমিকদের বুঝিয়ে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। চিনিকল এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’
পাবনা চিনিকলের শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুজ্জামান উজ্জ্বল বলেন, ‘আকস্মিকভাবে চিনিকলের মাড়াই বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পাবনা চিনিকলের প্রায় সাত শতাধিক শ্রমিক-কর্মচারী চাকরি হারানর আশঙ্কায় পড়েছে। মিলটি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেলে আনেকেই কর্মহীন হয়ে পড়বে।’
পাবনা চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাইফ উদ্দিন আহমেদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আখ মাড়াই বন্ধ হলেও মিলটি এখনো পুরোপুরি বন্ধ করা হয়নি। মিলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যাপারে এখনো কোনো নির্দেশ আসেনি।’
উল্লেখ্য, মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পর বুধবার শিল্প মন্ত্রণালয়ের এক পত্রে পাবনা চিনিকলসহ দেশের ৬টি রাষ্টায়াত্ত চিনিকলের উৎপাদন বন্ধ রাখার আদেশ জারি করে। এগুলো হলো- পাবনা চিনিকল, কুষ্টিয়া চিনিকল, রংপুর চিনিকল, পঞ্চগড় চিনিকল, শ্যামপুর চিনিকল, সেতাবগঞ্জ চিনিকল।
অব্যহত লোকসানের পরিমাণ কমাতে এ চিনিকলগুলোর উৎপাদন বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে পাবনা চিনিকল সূত্রে জানা গেছে।
১৯৯২ সালে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার দাশুরিয়ায় প্রায় ৬০ একর জায়গার উপর নির্মিত পাবনা চিনিকল উৎপাদন শুরুর পর থেকে এখনো পর্যন্ত লাভের মুখ দেখেনি। বর্তমানে পাবনাচিনি কলের প্রায় চারশ কোটি টাকা লোকসানের বোঝা মাথায় আছে বলে জানিয়েছে মিল সূত্র।
Comments