বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য জোরদারে আলোচনার প্রস্তাব যুক্তরাজ্যের

বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যকার বাণিজ্য সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করতে ইউকে-বাংলাদেশ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সংলাপের প্রস্তাব দিয়েছে যুক্তরাজ্য। আজ বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সীর সঙ্গে এক বৈঠকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ প্রস্তাব দেন।
ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সীর সঙ্গে আজ দেখা করেন। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যকার বাণিজ্য সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করতে ইউকে-বাংলাদেশ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সংলাপের প্রস্তাব দিয়েছে যুক্তরাজ্য। আজ বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সীর সঙ্গে এক বৈঠকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ প্রস্তাব দেন।

ব্রিটিশ হাইকমিশন এক বিবৃতিতে জানায়, দুই দেশের মধ্যে ভবিষ্যতে গভীরতম ব্যবসায়িক সম্পর্ক তৈরি করতে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ আলোচনা হবে। পারস্পরিক প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে যুক্তরাজ্যের প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য রপ্তানিতে ব্যবসায়িক প্রতিবন্ধকতা চিহ্নিত করা হবে এবং ব্যবসায়ের পরিবেশ উন্নত করতে সহায়তা করা হবে।

এতে আরও বলা হয়, 'মুক্ত বাণিজ্যে সেরা হিসেবে যুক্তরাজ্য অংশীদারিত্বমূলক বাণিজ্য ও বিনিয়োগের স্বার্থের ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশের সঙ্গে তার দৃঢ় বাণিজ্য সম্পর্ক আরও গভীর করতে চায়।'

দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়তার কথাও উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে।

ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন বলেছিলেন, 'যুক্তরাজ্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসায়  বাংলাদেশের সঙ্গে ভবিষ্যতে বাণিজ্যিক অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার যে সুযোগ পেয়েছে, তাতে দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ক বৃদ্ধি পাবে এবং উভয় দেশের বৃহত্তর সমৃদ্ধি অর্জনের সুযোগকে কাজে লাগাতে চাইছে।'

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, বাংলাদেশে সঙ্গে যুক্তরাজ্যের বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম রপ্তানি বাজার যুক্তরাজ্য। উভয় দেশের বাণিজ্য বৃদ্ধি করার প্রচুর সুযোগ আছে। যুক্তরাজ্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে আলাদা হবার পর নতুন বাণিজ্য নীতিতে বাংলাদেশকে গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে আশা করছি।

তিনি বলেন, ব্রেক্সিট পরবর্তী বাণিজ্য ও বিনিয়োগে যুক্তরাজ্যের আগ্রহে বাংলাদেশ উৎসাহবোধ করছে। নতুন উদ্যমে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সঠিক পথে পরিচালনার জন্য উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য আলোচনা জরুরি। আগামী জানুয়ারিতে দুই দেশের মধ্যে (জি টু জি) বাণিজ্য বৈঠকের আয়োজন করা হবে।

গত অর্থবছরে যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ তিন দশমিক দুই বিলিয়ন পাউন্ড মূল্যের পণ্য রপ্তানি করে এবং বাংলাদেশে যুক্তরাজ্যের রপ্তানি মূল্য ৮১১ মিলিয়ন পাউন্ড। ২০১৯ সালে যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম বিনিয়োগকারী এবং বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম রপ্তানি বাজার ছিল।

Comments