ব্রহ্মপুত্রে চীনের জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে ভারতের উদ্বেগ

ব্রহ্মপুত্র নদে চীনের মেগা জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে ভারত। নয়াদিল্লি বলেছে, ব্রহ্মপুত্রের উজানে কোনো কর্মকাণ্ডের ক্ষেত্রে ভাটির দেশগুলোর অধিকার নিশ্চিত করতে হবে চীনকে।
তিব্বতে ব্রহ্মপুত্র নদে চীনের জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনার খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর ভারত আজ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বেগের কথা জানালো।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব নয়াদিল্লিতে এক ভার্চুয়াল বৈঠকে আন্তর্জাতিক নদীটিতে বাঁধ নির্মাণ সম্পর্কে তার দেশের অবস্থান তুলে ধরেন।
শ্রীবাস্তব বলেন, ‘এ বিষয়ে কয়েকটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন আমাদের নজরে এসেছে। আন্তঃসীমান্ত নদীর ওপর অধিকারের বিষয়ে ভারত সরকার নিয়মিত চীনা কর্তৃপক্ষকে তার মতামত ও উদ্বেগ জানিয়েছে। নদীর উজানে যেকোনো কর্মকাণ্ডে ভাটির দেশগুলোর স্বার্থ যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়েছে।’
তিব্বতে ব্রহ্মপুত্র নদে মেগা জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে চীনের উদ্যোগের বিষয়ে এ সময় তাকে বেশ কিছু প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয়।
শ্রীবাস্তব বলেন, ‘চীনের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকবার আমাদেরকে জানানো হয়েছে যে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে নদীর গতিপথ পরিবর্তন করা হবে না।’
তবে, ভারত ব্রহ্মপুত্র নদে বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ করছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি জানান, আন্তঃসীমান্ত নদী নিয়ে ২০০৬ সালে কূটনৈতিকদের উদ্যোগে প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে চীনের সঙ্গে আলোচনার ব্যবস্থা তৈরি হয়। এর আওতায় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনাও হয়।
শ্রীবাস্তব বলেন, ‘সবার স্বার্থ রক্ষার্থে ভারত আন্তঃসীমান্ত নদী ইস্যুতে চীনের সঙ্গে কাজ করার লক্ষ্য নিয়েছে।’
চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত গ্লোবাল টাইমস পত্রিকা সম্প্রতি চীনের পাওয়ার কন্সস্ট্রাকশন করপোরেশনের চেয়ারম্যান ইয়ান ঝিয়ং এর বরাত দিয়ে জানায়, চীন ব্রহ্মপুত্রের উজানে জলবিদ্যুৎ প্রকল্প করবে এবং প্রকল্পটির মাধ্যমে নদীর ব্যবহার ও অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।
প্রকল্পটি চীনের ১৪তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা (২০২১-২৫) এবং কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির (সিপিসি) গৃহীত ২০৩৫ সালের দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনায় প্রস্তাবনা আকারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
Comments