যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ পরমাণু চুক্তি মেনে চললে ইরানও মানতে প্রস্তুত: জারিফ

যদি যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তির প্রতিশ্রুতি মেনে চলে তাহলে ইরানও ওই চুক্তি সম্পূর্ণভাবে মেনে চলতে প্রস্তুত।
আজ বৃহস্পতিবার ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ এ কথা বলেছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৮ সালে এই চুক্তি ত্যাগ করেন। তিনি দাবি করেছিলেন, ইরানের পারমাণবিক ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি বা মধ্য প্রাচ্যে তাদের প্রভাব এই চুক্তি দিয়ে আটকানো সম্ভব হয়নি।
তবে, নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, তেহরান চুক্তিটি কঠোরভাবে মেনে চলা শুরু করলে তিনি আবারও এতে যোগ দেবেন।
মিত্রদের সঙ্গে নিয়ে এটি আরও জোরদার ও প্রসারিত করতে কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন বাইডেন।
ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে রোমের সম্মেলনে জারিফ বলেন, তথাকথিত যৌথ পরিকল্পনা (জিসিপিওএ) পুনর্গঠিত হতে পারে না। তবে, এটি পুনরুত্থিত হতে পারে।
‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কিন্তু, তারা শর্ত নির্ধারণের মতো অবস্থানে নেই,’ বলেন জারিফ।
ইরানের গার্ডিয়ান কাউন্সিলের নজরদারি সংস্থা গত বুধবার একটি আইন অনুমোদন করেছে। আইন অনুযায়ী ইরানের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা দুই মাসের মধ্যে সহজ করা না হলে যুক্তরাষ্ট্রে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা পরিদর্শন বন্ধ করা হবে এবং ২০১৫ সালের চুক্তির আওতায় নির্ধারিত সীমা ছাড়িয়ে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধি বাড়াবে ইরান।
সরকার আইনটি পছন্দ না করলেও তা বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানান জারিফ।
তিনি আরও বলেন, ‘তবে এই আইনটি অপরিবর্তনীয় নয়। ইউরোপ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জিসিপিও এর সঙ্গে সম্মত হলে আইনটি কার্যকর করা হবে না এবং বাস্তবে আমরা যে ব্যবস্থা নিয়েছি ... তা বাতিল করা হবে। তখন আমরা সম্পূর্ণভাবে চুক্তিতে ফিরে যাব।’
জারিফ বলেন, ট্রাম্প প্রশাসনের আরোপিত অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার কারণে ইরানিদের ২৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় হয়েছে। করোনা মহামারিতে প্রয়োজনীয় ওষুধ এবং ভ্যাকসিন কেনা অসম্ভব করে দিয়েছে এসব নিষেধাজ্ঞা। ফলে, ইরান বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছে।
Comments