‘আমেরিকার সবচেয়ে বড় হুমকি চীন’
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনটেলিজেন্স পরিচালক জন র্যাটক্লিফ চীনকে তার দেশের জন্যে ‘সবচেয়ে বড় হুমকি’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
আজ শুক্রবার সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদন মতে, গতকাল দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল-এর মতামত বিভাগে এক লেখায় র্যাটক্লিফ প্রকাশ্যে এমন সতর্কতা প্রকাশ করে বলেছেন, চীনকে প্রতিহত করতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তিগত উন্নয়ন অবশ্যই বাড়াতে হবে।
‘যুক্তরাষ্ট্রে যে কোনো ব্যক্তির চেয়ে আমি সবচেয়ে বেশি গোয়েন্দা তথ্য পাই’ উল্লেখ করে র্যাটক্লিফ লিখেছেন, ‘আজকের দিনে চীন হচ্ছে আমেরিকার সবচেয়ে বড় হুমকি।’
তার মতে, শুধু আমেরিকারই নয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর চীনই হচ্ছে বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার সবচেয়ে বড় হুমকি।
‘অর্থনীতি, সামরিক শক্তি ও প্রযুক্তি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও বাকি বিশ্বের ওপর বেইজিং কর্তৃত্ব করতে চায়’ বলেও মন্তব্য করেছেন র্যাটক্লিফ।
মতমতটিতে তিনি আরও লিখেছেন, চীনের অনেক বৃহৎ সরকারি প্রকল্প ও দেশটির অনেক নামকরা প্রতিষ্ঠান ছদ্দবেশে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে সচেষ্ঠ রয়েছে।
এ বিষয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসনের সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ এই গোয়েন্দা কর্মকর্তা তার লেখায় বলেছেন যে চলতি বছরে চীন তাদের প্রচারণার অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের কয়েক ডজন সদস্য ও তাদের সহযোগীকে লক্ষ্যে পরিণত করেছে।
আসন্ন বাইডেন প্রশাসনকে প্রভাবিত করার অংশ হিসেবে এশিয়া ও অন্যান্য স্থানে চীন সামরিক অভিযান চালাতে পারে বলেও তিনি তার লেখায় সতর্ক করেছেন বলে সিএনএন প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টে আরও বলা হয়েছে, জন র্যাটক্লিফের এমন মন্তব্যকে ওয়াশিংটনে বেইজিং দূতাবাসের একজন প্রতিনিধি ‘তথ্যের বিকৃতি’ ও চীনকে নিয়ন্ত্রণ করতে মার্কিন সরকারের প্রচেষ্টা হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদেন আরও বলা হয়েছে, একই ধরনের সতর্কতা প্রকাশ করে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নেভাল ইনস্টিটিউটের অনলাইন ফোরামে জয়েন্ট চিফস চেয়ারম্যান জেনারেল মার্ক মিলে বলেছেন, ‘চলতি শতকের মাঝামাঝি চীন শুধু যে যুক্তরাষ্ট্রের সমকক্ষ হতে চায় তা নয়, দেশটি আমাদেরকে ছাড়িয়ে যেতে চায়, আমাদের ওপর কর্তৃত্ব করতে চায়, সামরিক সংঘাতের মাধ্যমে আমাদের পরাভূত করতে চায়।’
Comments