সাকিব নয়, জাকিরেই সমাধান খুলনার

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

দল হিসেবে কাগজে কলমে সবচেয়ে শক্তিশালী জেমকন খুলনা। কিন্তু মাঠের লড়াইয়ে সেভাবে জ্বলে উঠতে পারছিল না দলটি। তার অন্যতম প্রধান কারণই ছিল ওপেনারদের ব্যর্থতা। সে ব্যর্থতা ঢাকতে ওপেনার বনে গিয়েছিলেন সাকিব আল হাসানও। কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি। তবে অবশেষে আস্থা রাখার মতো একজনকে পেয়েছে খুলনা। প্রথমবারের মতো বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে সুযোগ পেয়েই জ্বলে উঠেছেন জাকির হোসেন।

আসরের শুরুতে খুলনার হয়ে বিজয়ের সঙ্গে ইমরুল কায়েস ওপেনার হিসেবে নেমে চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু দুই ম্যাচেই ব্যর্থ তিনি। এমনকি কোনো ম্যাচেই রানের খাতা খুলতে পারেননি। পরে বদল করে শেষ দুই ম্যাচে ওপেনার হিসেবে নেমেছিলেন সাকিব। এ দুই ম্যাচে রান করতে পেরেছেন ১৪ (১১ ও ৩)। তাই বাধ্য হয়েই শুক্রবার ফের আরও একবার পরিবর্তন আসে ওপেনিংয়ে।

এদিন জাকিরের সঙ্গে ওপেনিং জুটিতে মাঠে নামেন জহুরুল ইসলাম। তবে ব্যর্থ হয়েছেন তিনিও। তবে আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন জাকির। বিজয়ের জায়গায় মূল একাদশে সুযোগ মিলে তার। আর নিজের প্রথম ম্যাচেই দারুণ এক হাফসেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন তিনি। খেলেছেনও স্বভাব সুলভ আগ্রাসী ঢঙে। তাসকিন আহমেদের স্লোয়ারে কভারে ক্যাচ তুলে দেওয়ার আগে ৪২ বলে খেলেন ৬২ রানের ইনিংস। ১০টি চারের সাহায্যে নিজের ইনিংসটি সাজিয়েছেন এ তরুণ।

আর তার হাফসেঞ্চুরিতে ভর করেই নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৭৬ রান করেছে খুলনা। চলতি আসরে এটাই তাদের দলীয় সর্বোচ্চ ইনিংস। এদিন অবশ্য দুঃসময় পেছনে ফেলার ইঙ্গিত দিয়েছেন ইমরুল। নিজের ৩৭ রানের ইনিংসে দ্বিতীয় উইকেটে জাকিরের সঙ্গে স্কোরবোর্ডে যোগ করেছেন ৮০ রান। চার নম্বরে নেমে এদিনও ব্যর্থ হয়েছে সাকিব। দুটি বাউন্ডারিতে করেছেন ১৪ রান। তানভিরের বলে লংঅনে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। মাহমুদউল্লাহর ব্যাট থেকে আসে ২৪ রান।

ফরচুন বরিশালের পক্ষে ৩৩ রান খরচ করে ৩টি উইকেট পেয়েছেন কামরুল ইসলাম রাব্বি। এছাড়া তাসকিন ও তানভির পেয়েছেন ২টি করে উইকেট। 

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

জেমকন খুলনা: ২০ ওভারে ১৭৬/৬ (জহুরুল ২, জাকির ৬৩, ইমরুল ৩৭, সাকিব ১৪, মাহমুদউল্লাহ ২৪, শামিম ৫, আরিফুল ৬*, শুভাগত ৫*; তাসকিন ২/৪৩, রাহী ০/৩৩, মিরাজ ০/২৫, আফিফ ০/২২, রাব্বি ১/২৩, তানভির ২/১৬)।

Comments

The Daily Star  | English

Dengue cases see sharp rise in early July

Over 1,160 hospitalised in first 3 days, total cases cross 11,000

16h ago