‘হারানোর কিছু নেই, পাওয়ার আছে অনেক’
পাঁচ সপ্তাহের অনুশীলন। ঘরের মাঠে নেপালের বিপক্ষে দুটি আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ। কাতারের মাটিতে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ। করোনাভাইরাসের কারণে ঘরোয়া ফুটবল গত মার্চ থেকে বন্ধ থাকায় এসব সম্বল করেই এশিয়ান কাপের শিরোপাধারী কাতারের বিপক্ষে নামবে বাংলাদেশ। শক্তিশালী প্রতিপক্ষের সঙ্গে ম্যাচের ফল সম্মানজনক পর্যায়ে রাখাকে তাই কঠিন মনে করছেন সাইফুল বারী টিটু। তবে অর্জনের ঝুলিতে অনেক কিছু যোগ হওয়ার সম্ভাবনাও দেখছেন স্থানীয় এই কোচ।
২০২২ বিশ্বকাপ ও ২০২৩ এশিয়ান কাপের যৌথ বাছাইপর্বের ‘ই’ গ্রুপের ম্যাচে আগামীকাল শুক্রবার স্বাগতিক কাতারকে মোকাবিলা করবে বাংলাদেশ। দোহার আব্দুল্লাহ বিন খলিফা স্টেডিয়ামে খেলা শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায়।
বাছাইয়ের আগের দেখায় ঘরের মাঠ বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে কাতারের কাছে ২-০ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ। বৃষ্টিস্নাত ওই ম্যাচে জামাল ভূঁইয়াদের পারফরম্যান্স নজর কেড়েছিল সবার। তবে এএফসি ‘এ’ লাইসেন্সধারী কোচ টিটু মনে করছেন, কাতারের মাটিতে অগ্নিপরীক্ষা দিতে হবে বাংলাদেশকে এবং তাতে উতরে যাওয়াটা হবে বিরাট সাফল্য।
দ্য ডেইলি স্টারকে তিনি বলেছেন, ‘অবশ্যই, ম্যাচের ফল সম্মানজনক পর্যায়ে রাখাও বাংলাদেশের জন্য একটি কঠিন ব্যাপার হবে। কারণ, ঢাকায় সবই আমাদের পক্ষে ছিল। মাঠ ছিল ভেজা, খেলা হয়েছিল কসকো বল দিয়ে। তবে আপনি ঢাকার সেই কাতারের সঙ্গে দোহার এই কাতারের তুলনা করতে পারবেন না।’
‘ঢাকার ওই ম্যাচ থেকে (ইতিবাচক কিছু) নেওয়ার নেই (বাংলাদেশ)। কারণ, এক বছর আগে খেলা হয়েছিল। ছেলেদের ০-২ ব্যবধানের হারটি ভুলে যাওয়া উচিত এবং মনে রাখা উচিত যে, এশিয়ান চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে তাদের হারানোর কিছু নেই। বরং অর্জন করার মতো অনেক কিছুই আছে।’
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ৫৯তম স্থানে আছে ২০২২ বিশ্বকাপের আয়োজক কাতার। তাদের চেয়ে ঢের পিছিয়ে রয়েছে জেমি ডের শিষ্যরা। গত মাসে নিজেদের মাঠে নেপালের বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচের পর বাংলাদেশ উঠে এসেছে র্যাঙ্কিংয়ের ১৮৪তম স্থানে।
শক্তি, সামর্থ্য ও অভিজ্ঞতায় দুদলের পার্থক্য বিস্তর। তাই কাতারের বিপক্ষে বাংলাদেশের রক্ষণভাগকে নিরেট রাখার বিকল্প দেখছেন না শেখ রাসেলের কোচ টিটু, ‘খেলোয়াড়দের এই চারটি বিষয়ের- ফিটনেস, টেকনিক, ট্যাকটিকস ও মনস্তত্ত্ব- সর্বোচ্চ প্রয়োগ ঘটাতে হবে। আমরা আশা করতে পারি যে, কাতার বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রেসিং ফুটবল খেলবে। সুতরাং, টেকনিকের পাশাপাশি ট্যাকটিকাল জ্ঞান থাকাও খুব জরুরি।’
‘সেক্ষেত্রে, বাংলাদেশের সামনে একটি দুর্দান্ত চ্যালেঞ্জ রয়েছে। বাংলাদেশের অর্ধে প্রচুর বল চলে আসবে। তাই ভালোভাবে রক্ষণ সামলানো এবং রক্ষণপ্রাচীর ও মাঝমাঠের মাঝের ফাঁকা জায়গাগুলোতে কাতারকে খেলার সুযোগ না দেওয়া জরুরি।’
Comments