জাকিরের ব্যাটে বরিশালকে হারাল খুলনা

আসরের শুরু থেকেই ওপেনারদের ফর্ম নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিল জেমকন খুলনা। সাকিব আল হাসানের মতো বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারও ওপেনিং নেমে ব্যর্থ হয়েছেন। নানা পরীক্ষা নিরীক্ষায় এদিন তরুণ জাকির হাসানকে সুযোগ দেওয়া হয়। আর তার দারুণ সদ্ব্যবহার করেছেন তিনি। দারুণ এক ইনিংস খেলে লড়াকু সংগ্রহ এনে দেন দলকে। তাতেই জয় মিলেছে দলটির।
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

আসরের শুরু থেকেই ওপেনারদের ফর্ম নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিল জেমকন খুলনা। সাকিব আল হাসানের মতো বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারও ওপেনিং নেমে ব্যর্থ হয়েছেন। নানা পরীক্ষা নিরীক্ষায় এদিন তরুণ জাকির হাসানকে সুযোগ দেওয়া হয়। আর তার দারুণ সদ্ব্যবহার করেছেন তিনি। দারুণ এক ইনিংস খেলে লড়াকু সংগ্রহ এনে দেন দলকে। তাতেই জয় মিলেছে দলটির।

শুক্রবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ফরচুন বরিশালকে ৪৮ রানে হারিয়েছে জেমকন খুলনা। প্রথম ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৭৬ রান করে দলটি। জবাবে ১৯.৫ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১২৫ রানের বেশি করতে পারেনি দলটি। এ দুই দলের আগের লড়াইয়েও ৪ উইকেটের জয় পেয়েছিল খুলনা।

এদিন টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে খুলনা। জাকিরের সঙ্গে এদিন ওপেনিংয়ে নামেন জহুরুল ইসলাম। অবশ্য আগের মতো এদিনও ভুগেছে তাদের ওপেনিং জুটি। জহুরুল প্রত্যাশা মেটাতে পারেননি। চলতি আসরের শুরুতে খুলনার হয়ে বিজয়ের সঙ্গে ইমরুল কায়েস ওপেনার হিসেবে নেমে চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু দুই ম্যাচেই ব্যর্থ তিনি। এমনকি কোনো ম্যাচেই রানের খাতাও খুলতে পারেননি। পরে বদল করে শেষ দুই ম্যাচে ওপেনার হিসেবে নেমেছিলেন সাকিব। এ দুই ম্যাচে রান করতে পেরেছেন ১৪ (১১ ও ৩)। তাই বাধ্য হয়েই শুক্রবার ফের আরও একবার পরিবর্তন এনেছিল দলটি।

জহুরুল না পারলেও দারুণ খেলেছেন জাকির। দ্বিতীয় উইকেটে ইমরুল কায়েসের সঙ্গে ৮০ রানের দারুণ এক জুটি গড়েন তিনি। দুঃসময় পেছনে ফেলার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ইমরুল। ৩৭ রানের ইনিংস খেলেন। তবে চার নম্বরে নেমে এদিনও ব্যর্থ হয়েছে সাকিব। দুটি বাউন্ডারিতে করেছেন ১৪ রান। তানভিরের বলে লংঅনে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। মাহমুদউল্লাহর ব্যাট থেকে আসে ২৪ রান।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬২ রান করেন জাকির। তাসকিন আহমেদের স্লোয়ারে কভারে ক্যাচ তুলে সাজঘরমুখি হন তিনি। ১০টি চারের সাহায্যে নিজের ইনিংসটি সাজিয়েছেন এ তরুণ। তার হাফসেঞ্চুরিতে ভর করেই নির্ধারিত ১৭৬ রান করেছে খুলনা। চলতি আসরে এটাই তাদের দলীয় সর্বোচ্চ ইনিংস।

ফরচুন বরিশালের পক্ষে ৩৩ রান খরচ করে ৩টি উইকেট পেয়েছেন কামরুল ইসলাম রাব্বি। এছাড়া তাসকিন ও তানভির পেয়েছেন ২টি করে উইকেট।

লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা দারুণ করেছিল বরিশাল। পারভেজ হোসেন ইমনকে নিয়ে ৫৭ রানের ওপেনিং জুটি উপহার দেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল। এদিন কিছুটা আগ্রাসী ঢঙে ইনিংস শুরু করেছিলেন তিনি। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই শুভাগত হোমকে একটি করে চার ও ছক্কা মেরে ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু আরও একবার ইনিংস লম্বা করতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। পরে শুভাগতর বলেই লংঅনে ক্যাচ তুলে ব্যক্তিগত ৩২ রানে বিদায় নেন তিনি।

মাত্র ১ রানের ব্যবধানে দুই ওপেনারের বিদায়ের পর স্কোরবোর্ডে আর ২ রান যোগ করতেই বিদায় নেন আফিফ হোসেন ধ্রুবও। ফলে বড় চাপে পড়ে যায় দলটি। এরপর তৌহিদ হৃদয়ের সঙ্গে দলের হাল ধরার চেষ্টা করেছিলেন ইরফান শুক্কুর। ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আগেই এ জুটি ভাঙেন সাকিব। আর ব্যক্তিগত ৩৩ রানে হৃদয় বিদায় নিলে আর পেরে ওঠেনি দলটি। ১ বল বাকি থাকতেই গুটিয়ে যায় দলটি।

খুলনার পক্ষে এদিন অসাধারণ বোলিং করেছেন তরুণ হাসান মাহমুদ। ৪ ওভার বল করে ১৮ রানের খরচায় পেয়েছেন ২টি উইকেট। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন শহিদুল ও শুভাগতও।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

জেমকন খুলনা: ২০ ওভারে ১৭৬/৬ (জহুরুল ২, জাকির ৬৩, ইমরুল ৩৭, সাকিব ১৪, মাহমুদউল্লাহ ২৪, শামিম ৫, আরিফুল ৬*, শুভাগত ৫*; তাসকিন ২/৪৩, রাহী ০/৩৩, মিরাজ ০/২৫, আফিফ ০/২২, রাব্বি ১/২৩, তানভির ২/১৬)।

ফরচুন বরিশাল: ১৯.৫ ওভারে ১২৫ (তামিম ৩২, ইমন ১৯, আফিফ ৩, হৃদয় ৩৩, ইরফান ১৬, অংকন ১০, মিরাজ ১, তাসকিন ০, তানভির ০, রাব্বি ০; সাকিব ১/২২, শুভাগত ২/১৮, আল-আমিন ১/৩১, শহিদুল ২/১৭, হাসান ২/১৮, মাহমুদউল্লাহ ০/১৩, শামিম ০/২)

ফলাফল: জেমকন খুলনা ৪৮ রানে জয়ী।

ম্যান অব দ্য ম্যাচ: জাকির হোসেন (জেমকন খুলনা)

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

8h ago