খেলোয়াড়দের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে মুগ্ধ মাহমুদউল্লাহ
আগের চার ম্যাচে দুটি জয় থাকলেও খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সে মন ভরাতে পারেনি জেমকন খুলনা। তবে শুক্রবার ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে তিন বিভাগেই ভালো করে দাপুটে এক জয় পেয়েছে দলটি। আর খেলোয়াড়দের এমন অলরাউন্ড নৈপুণ্য দেখে দারুণ মুগ্ধ দলের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
এদিন ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ৪৮ রানের দারুণ জয় পায় খুলনা। শুরুতে ব্যাটসম্যানরা দলকে ১৭৬ রানের লড়াকু সংগ্রহ এনে দিয়েছিলেন। পরে বোলাররা নিয়ন্ত্রিত বোলিং করে প্রতিপক্ষকে ১২৫ রানেই বেঁধে ফেলেন। সব দলের অসাধারণ এক জয় দেখছেন অধিনায়ক।
ম্যাচ শেষে অধিনায়ক বলেছেন, 'আমি মনে করি সবদিক দিয়েই এটি একটি অসাধারণ জয় ছিল। ব্যাটসম্যান এবং বোলাররা উভয়ই অলরাউন্ড পারফরম্যান্স দেখিয়েছে। এটাতে খুব ভালো দলীয় সমন্বয় ছিল। এটা দেখে খুবই সন্তুষ্ট আমি।'
তবে এদিন লক্ষণীয় ছিল জাকিরের ব্যাটিং। নিয়মিত ওপেনার এনামুল হক বিজয়কে বিশ্রাম দিয়ে জাকিরকে খেলিয়েছিল তারা। আর সে ফটকা দারুণভাবে কাজে লাগে দলটির। আসরে প্রথমবারের মতো সুযোগ পেয়ে খেলেছেন ৬৩ রানের ইনিংস।
আর জাকিরের এ ইনিংসই সব বদলে দিয়েছে বলে মনে করেন মাহমুদউল্লাহ, 'শেষ কয়েকদিন ধরে সে (জাকির) নেটে খুব ভালো ব্যাটিং করছিল। তো আমি চিন্তা করলাম এনামুলকে একটি বিশ্রাম দেই। যাতে সে আবারো পুরনো ফর্মে ফিরে আসতে পারে। জাকির সেই সুযোগটাই নিয়েছে এবং দুর্দান্ত একটি ইনিংস খেলেছে এই ধরণের পরিবেশে। আমি মনে করি এটা বোলারদের জন্য উপযুক্ত ছিল কিন্তু সে কার্যকরী একটি ইনিংস খেলেছে।'
এদিন ছন্দে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছেন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান ইমরুল কায়েসও। সবমিলিয়ে তাই দারুণ খুশী খুলনা অধিনায়ক, 'আমি মনে করি ইমরুলের অভিজ্ঞতা আমাদের বাড়তি পাওয়া। এই (ইমরুল-জাকির) জুটিতে সে খুব ভালো স্ট্রাইক রোটেট করে খেলেছে। তাই জাকির হাত খুলে খেলতে পেরেছে। আমাদের জন্য এটা খুব ভালো একটা জুটি ছিল। যে জন্য আমরা শেষ দিকে উইকেট হাতে রেখে বড় শটস খেলার সুবিধাটা নিতে পেরেছি।'
নিজেদের ইনিংসে দিন জাকিরের সঙ্গে প্রথমবারের মতো জহুরুল ইসলামকে নামিয়েছিল খুলনা। জহুরুল অবশ্য দলীয় ১৯ রানেই ফিরে গেছেন। এরপর ইমরুলের সঙ্গে ৮০ রানের জুটি গড়েন জাকির। আর তাদের এ জুটিতে ভর করেই বড় সংগ্রহ পায় দলটি। শেষপর্যন্ত জয়ও মিলে বড়।
Comments