পঞ্চম গোলটাই হতাশায় পোড়াচ্ছে বাংলাদেশের কোচকে
ফিফা র্যাঙ্কিং, টেকনিক, ফিটনেস সকল মাপকাঠিতে বিস্তর ফারাক দুদলের। তাই আগামী বিশ্বকাপের আয়োজক কাতারের কাছে বড় হারের পর বাস্তবতা তুলে ধরলেন বাংলাদেশের প্রধান কোচ জেমি ডে। শিষ্যদের সার্বিক পারফরম্যান্স নিয়ে সন্তুষ্টির পাশাপাশি যোগ করা সময়ে হজম করা পঞ্চম গোল নিয়ে হতাশাও ঝরল তার কণ্ঠে।
২০২২ বিশ্বকাপ ও ২০২৩ এশিয়ান কাপের যৌথ বাছাইপর্বের ‘ই’ গ্রুপের ম্যাচে বাংলাদেশকে ৫-০ গোলে হারিয়েছে কাতার। দুদলের আগের দেখায় ঘরের মাঠ বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে একই প্রতিপক্ষের কাছে ২-০ গোলে হেরেছিল লাল-সবুজ জার্সিধারীরা।
ম্যাচ শেষে হারের ব্যবধান প্রসঙ্গে প্রশ্নকর্তা এক সাংবাদিকের উদ্দেশে ইংলিশ কোচ জেমি বলেন, ‘আমি হতাশ নই। তারা এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন। এশিয়ার সেরা দল। তারা চার মাস ধরে অনুশীলনে আছে। আমরা মাত্র পাঁচ সপ্তাহ অনুশীলন করেছি। আর আপনি বলছেন যে, আমাদের ২-০ কিংবা ৩-০ ব্যবধানে হারা উচিত ছিল? যখন তারা দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দলের সঙ্গেও খেলেছে কিছুদিন আগে? আমি জানি না, কোথা থেকে এটা (হারের ব্যবধান নিয়ে প্রশ্ন) আসছে! আমি মনে করি, ছেলেরা খুবই দারুণ খেলেছে।’
সংবাদ সম্মেলনে নিজের আফসোসের কথাও তুলে ধরেন তিনি, ‘আমার একমাত্র হতাশা হলো, আমরা পঞ্চম গোলটা হজম করেছি। আমরা যোগ করা সময়ে গোলটা হজম করেছি। কারণ, ম্যাচটা ৫-০ হওয়ার মতো ছিল বলে আমি মনে করি না। ৪-০ ব্যবধানকে তুলনামূলক ভালো দেখাত। কিন্তু আমি ছেলেদের প্রচেষ্টাকে খাটো করব না। আমরা চারটা প্রীতি ম্যাচ খেলেছি, পাঁচ সপ্তাহ অনুশীলন করেছি। এসব পুঁজি করে এখানে এসে ভালো পারফর্ম করা অত্যন্ত কঠিন কাজ।’
তবে আনিসুর রহমান জিকো-জামাল ভূঁইয়ারা প্রশংসাও পেলেন ডের কাছ থেকে, ‘বল দখলে রাখা কিংবা টেকনিকের দিক থেকে আমাদের কাতারের মতো দক্ষতা নেই। কিন্তু খেলোয়াড়রা তাদের শতভাগ দিয়েছে। আমি তাদের কাছে এটাই চেয়েছিলাম। এমন একটা দলের বিপক্ষে খেলতে স্বল্প সময়ের মধ্যে ফিট হয়ে ওঠার জন্য তারা প্রাণান্ত পরিশ্রম করেছে, যারা কিনা বিশ্বকাপে খেলবে।’
ছয় ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে ‘ই’ গ্রুপের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে আছে কাতার। এক ম্যাচ কম খেলে মাত্র ১ পয়েন্ট নিয়ে তলানিতে অবস্থান করছে বাংলাদেশ।
Comments