নাপোলির সান পাওলো এখন ‘স্তাদিও দিয়েগো আরমান্দো ম্যারাডোনা’

স্তাদিও সান পাওলোর নাম স্তাদিও দিয়েগো আরমান্দো ম্যারাডোনা করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
diego maradona stadium
ছবি: টুইটার

নাপোলির সর্বকালের সেরা ফুটবলার নিঃসন্দেহে দিয়েগো ম্যারাডোনা। শুধু তা-ই নয়, গোটা নেপলস শহরের রন্ধ্রে রন্ধ্রে মিশে আছেন প্রয়াত এই কিংবদন্তি তারকা। তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে নিজেদের স্টেডিয়ামের নাম বদলে ফেলেছে নেপলস সিটি কাউন্সিল। স্তাদিও সান পাওলোর নাম স্তাদিও দিয়েগো আরমান্দো ম্যারাডোনা করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।

বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, শুক্রবার নেপলস সিটি কাউন্সিলে সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ম্যারাডোনার আকস্মিক মৃত্যুর পর তার নামে স্টেডিয়ামটির নামকরণের প্রস্তাব দিয়েছিলেন শহরটির মেয়র লুইগি দি ম্যাজিস্ত্রিস ও ক্লাবটির সভাপতি অরেলিও দে লরেন্তিস।

নেপলসের স্থানীয় সরকারের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘তার অসীম প্রতিভা ও ঐন্দ্রজালিক ক্ষমতা দিয়ে সাত বছর নাপোলির এই জার্সিকে সম্মানিত করেছেন, দুটি ইতালিয়ান লিগসহ অন্যান্য গৌরবময় কাপ জিতিয়েছেন এবং বিনিময়ে শহরের চিরস্থায়ী ও নিঃস্বার্থ ভালোবাসা জিতে নিয়েছেন তিনি।’

১৯৮৪ সালে রেকর্ড ট্রান্সফার ফিতে নাপোলিতে যোগ দেওয়ার আগে-পরে বোকা জুনিয়র্স ও বার্সেলোনার মতো দলেও খেলেছেন ম্যারাডোনা। কিন্তু তার সবকিছু উজাড় করে দিয়েছিলেন ইতালিয়ান দলটির জন্য। সেখানে সাত মৌসুম খেলে দুটি সিরি আ ও একটি উয়েফা কাপসহ পাঁচটি শিরোপা জিতেছিলেন তিনি। প্রায় তিন যুগ পেরিয়ে গেলেও সেই সাফল্যের পুনরাবৃত্তি ঘটাতে পারেনি ক্লাবটি। সেকারণে, জাতীয় দলের হয়ে ১৯৮৬ বিশ্বকাপ জেতা ‘ফুটবল ঈশ্বর’ খ্যাত সাবেক ফুটবলার যতটা আর্জেন্টিনার, ঠিক ততটাই নাপোলির।

ম্যারাডোনার মহাপ্রয়াণের পর দে লরেন্তিস বলেছিলেন, ‘গত ১৭ বছর ধরে আমি এই বিষয় নিয়ে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে আসছি। আমি সবসময় বলেছি, স্টেডিয়ামটির নামকরণ করা হোক “দিয়েগো আরমান্দো ম্যারাডোনা”। ঐতিহ্যের কারণে যদি “সান পাওলো” ও “ম্যারাডোনা” দুটোই বলতে হয়, তবে তাই হোক।’

তাকে সমর্থন জানিয়ে দি ম্যাজিস্ত্রিস যোগ করেছিলেন, ‘নেপলসের স্টেডিয়ামকে ম্যারাডোনার নামে উৎসর্গ করার বিষয়ে আমরা একাত্ম হয়ে কাজ শুরু করেছি। এটা একটা প্রক্রিয়ার অংশ। কিন্তু প্রক্রিয়াটি দ্রুত সম্পন্ন হবে। কারণ, যখন কোনো ব্যাপারে আমাদের তীব্র আকাঙ্ক্ষা থাকে, তখন কিছুই আমাদের আটকাতে পারে না।’

উল্লেখ্য, গত ২৫ নভেম্বর স্থানীয় সময় বিকালে ম্যারাডোনার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে বিশ্বজুড়ে শুরু হয় তোলপাড়। স্তব্ধ হয়ে যায় গোটা ক্রীড়াজগৎ। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬০ বছর। তিগ্রেতে নিজ বাসায় হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল তার।

Comments

The Daily Star  | English

DMCH doctors threaten strike after assault on colleague

A doctor at Dhaka Medical College Hospital (DMCH) was allegedly assaulted yesterday after the death of a private university student there, with some of his peers accusing the physicians of neglecting their duty in his treatment

6h ago