‘মেসি চলে গেলে আর্থিকভাবে ভালো অবস্থায় থাকত বার্সা’
ঘোলা জল পরিষ্কার করতে গিয়ে উল্টো আরও ঘোলা বানিয়ে ফেললেন না তো বার্সেলোনার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কার্লেস তুসকেতস?
সম্প্রতি তিনি বলেছিলেন, ক্লাবের আর্থিক দুরবস্থার কথা বিবেচনা করে সবশেষ গ্রীষ্মকালীন দলবদলে লিওনেল মেসিকে বিক্রি করে দেওয়া উচিত ছিল। তার এমন মন্তব্য নিয়ে উঠেছে বিতর্কের ঝড়। বার্সা কোচ রোনাল্ড কোমানও প্রকাশ করেছেন বিরক্তি। উত্তপ্ত পরিস্থিতির মাঝেই শুক্রবার স্প্যানিশ গণমাধ্যম রেডিও কাতালুনিয়ার মুখোমুখি হন তুসকেতস। কিন্তু নিজের আগের মন্তব্যের যে ব্যাখ্যা তিনি দিয়েছেন, তা অনেকটা আর্জেন্টাইন তারকা মেসির কাঁটা ঘায়ে নুনের ছিটা দেওয়ার মতো!
৬৯ বছর বয়সী তুসকেতস বলেছেন, ‘আমি বলিনি যে, আমি (সেসময় দায়িত্বে থাকলে) মেসিকে বিক্রি করতাম। আমি বলেছিলাম যে, আর্থিক দিক থেকে বিবেচনা করলে, তার চলে যাওয়াটা ক্লাবের জন্য ভালো হতো।’
‘আমরা (অর্থনৈতিকভাবে) ভালো অবস্থায় থাকতাম। কারণ, আমরা জানি যে, তার বেতন বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ। এটাই সত্যি। কিন্তু আমি (সিদ্ধান্ত নেওয়ার) কেউ নই। সিদ্ধান্তটা তার এবং পরিচালনা পর্ষদ এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।’
গত মৌসুমের উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে ৮-২ গোলে বিধ্বস্ত হওয়ার পর বার্সেলোনা ছাড়তে চাওয়ার কথা বলেছিলেন মেসি। চুক্তির একটি বিশেষ ধারা কার্যকর করে ফ্রি ট্রান্সফারে ন্যু ক্যাম্পকে বিদায় জানাতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে বার্সা কর্তৃপক্ষ তার রিলিজ ক্লজের ৭০ কোটি ইউরো ছাড়া তাকে যেতে দিতে নারাজ ছিল। শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত বদলে কাতালান শিবিরে থেকে যান ৩৩ বছর বয়সী তারকা।
বার্সার সঙ্গে রেকর্ড ছয়বারের ব্যালন ডি’অর জয়ী মেসির বর্তমান চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে আগামী জুনে। তখন ফ্রি ট্রান্সফারে নতুন ঠিকানায় পাড়ি জমাতে পারবেন তিনি।
করোনাভাইরাসের কারণে আর্থিকভাবে ভীষণ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া বার্সার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তুসকেতস যোগ করেছেন, ‘মেসি ক্লাবের জন্য (আর্থিকভাবে) যা নিয়ে আসে, সেটা তার পেছনেই (চুক্তিতে থাকা পারিশ্রমিক হিসেবে) খরচ হয়। কিন্তু বার্সেলোনা কেবল একজন খেলোয়াড়ের উপর নির্ভরশীল নয়।’
‘যদি দরকার হয়, তাহলে আমি কোমানকে গিয়ে বলব, তিনি আমার কথা ভুলভাবে বুঝেছেন। আমি কেবল (লাভ-ক্ষতির) হিসাবনিকাশ করছিলাম।’
Comments