দলের বিপর্যয়ে ত্রাতা মুশফিক
চার ওভারের মধ্যেই ফিরে গিয়েছিলেন টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যান। পাওয়ার প্লেতে দ্রুত রান আনার বদলে ধুঁকছিলেন ঢাকার ব্যাটসম্যানরা। চরম বিপর্যয়ে ইয়াসির আলি রাব্বিরকে নিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিলেন মুশফিকুর রহিম। সময় নিয়ে থিতু হলেন, পরে খেললেন নিজের চেনা ছন্দে, পেলেন ফিফটি। তাকে সঙ্গে দিয়ে ছন্দে থাকা ইয়াসিরও রাখলেন অবদান। তাতে লড়াইয়ের একটা পূঁজি পেয়েছে তার দল।
বরাবরের মতো টসে জিতে আগে ফিল্ডিং নেওয়া গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের বিপক্ষে ৪ উইকেটে ১৪৫ রান করেছে বেক্সিমকো ঢাকা। ৫০ বলে অপরাজিত ৭৩ করেন অধিনায়ক মুশফিক।
রোববার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে উইকেটের চরিত্র খুব একটা বদলায়নি। বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে আগে ব্যাট করা দলগুলোর শুরুর সংগ্রামের ধারাও ছিল একই। কিছুটা মন্থর উইকেটে বল ধীরে আসা স্বাভাবিক। স্পিনারদের বল গ্রুপ করবে তাও অনুমেয়। চেনা বাইশ গজের এই চরিত্র তবু যেন অচেনা নাঈম শেখ, সাব্বির রহমানদের।
বাজে ফর্মের কারণে তিন ম্যাচ বাইরে থাকা সাব্বির ফিরলেন ওপেনিংয়ে। কিন্তু ফেরাতে পারলেন না ছন্দ। তার আগেই অবশ্য নাঈমের বিদায়। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে শরিফুল ইসলামের বাজে বলে ছক্কা-চারে পেটানোর পর দেখা গেল না বুদ্ধির ছাপ। ভাল লেন্থের বলে পা নড়ল না তার। জায়গায় দাঁড়িয়ে দুবার মিসটাইমিং শট হলো। একটা ফিল্ডারের কাছে না গেলেও অন্যটা উঠল একদম সোজা। সহজ ক্যাচে থামল তার ১১ বলে ১৩ রানের ইনিংস।
সাব্বির ছিলেন জড়সড়ো। ব্যাটের কানায় লেগে পেয়েছিলেন এক চার। কিন্তু মাঝব্যাটে আর বল পাওয়া হয়নি তার। বাঁহাতি স্পিনার রাকিবুল হাসানের বলে এলবিডব্লিও হয়ে ফেরেন ১০ বলে ৭ রান করে।
তরুণ তানজিদ হাসান তামিম এই টুর্নামেন্টে হতাশার ধারাবাহিকতা এদিনও রাখলেন বজায়। মাত্র ২ বল খেলে ০ রানে নাহিদুলের অফ স্পিনে এলবিডব্লু হয়েছেন তিনি।
এরপরই ইয়াসির-মুশফিকের ঘুরে দাঁড়ানো। শুরুতে রানে বলে মিল রাখতে কিছুটা অসুবিধা হলো তাদের। উইকেটে টিকে থাকায় করলেন ব্রত। আগের ম্যাচে ঝড় তোলা ইয়াসিরকে পাওয়া গেল ভিন্ন ভূমিকা। প্রান্ত আগলে খেললেন তিনি। মুশফিক নিলেন রান বাড়ানোর দায়। দুজনের ৮৬ রানের জুটি ভাঙ্গে ইয়াসিরের বিদায়ে। ১৭তম ওভারে মোস্তাফিজের বলে রান বাড়ানোর তাড়ায় কাটা পড়েন তিনি। ৩৮ বলে করেন ৩৪ রান।
শেষটায় দলের রান বাড়ানোর সব কৃতিত্ব মুশফিকের। ৪২ বলে ফিফটি করার পর আরও উত্তাল হলো তার ব্যাট। ৭ চার, ৩ ছক্কায় ৭০ ছাড়িয়ে যান তিনি। ঢাকাও তাতে পেল লড়াইয়ের রসদ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বেক্সিমকো ঢাকা: ২০ ওভারে ১৪৫/৪ ( নাঈম ১৩, সাব্বির ৭ , তানজিদ ০ , মুশফিক ৭৩*, ইয়াসির ৩৪, আকবর ১০* ; নাহিদুল ১/১৬, শরিফুল ১/৪৮, রাকিবুল ১/২৪, মোস্তাফিজ ১/১৯, মোসাদ্দেক ০/৮, সৌম্য ০/২৮)
Comments