সামুদ্রিক মৎস্য আইন প্রত্যাহারের দাবিতে ফিশিং ট্রলার নাবিকদের মানববন্ধন

সম্প্রতি পাশ হওয়া সামুদ্রিক মৎস্য আইন-২০২০ প্রত্যাহারের দাবিতে চট্টগ্রামে মানববন্ধন করেছে সমুদ্রে মাছ আহরণকারী ফিশিং ট্রলারের ক্যাপ্টেন ও নাবিকদের একাংশ। রোববার বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে প্রায় পাঁচ শতাধিক ক্যাপ্টেন ও নাবিক মানববন্ধনে অংশ নেন।

সম্প্রতি পাশ হওয়া সামুদ্রিক মৎস্য আইন-২০২০ প্রত্যাহারের দাবিতে চট্টগ্রামে মানববন্ধন করেছে সমুদ্রে মাছ আহরণকারী ফিশিং ট্রলারের ক্যাপ্টেন ও নাবিকদের একাংশ। রোববার বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে প্রায় পাঁচ শতাধিক ক্যাপ্টেন ও নাবিক মানববন্ধনে অংশ নেন।

আইনটি প্রত্যাহারের দাবিতে সোমবার চট্টগ্রাম সামুদ্রিক মৎস্য অধিদপ্তরের কার্যালয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন বলে জানিয়েছেন বক্তারা।

মেরিন ফিশিং ভেসেল স্কিপার, মেরিন অফিসার ও নাবিকদের সমন্বয়ে গঠিত ‘সামুদ্রিক মৎস্য আইন-২০২০ প্রতিরোধ কমিটি’র আহবায়ক শামসুল ইসলাম রাশেদী বলেন, ২৪ নভেম্বর পাশ হওয়া এ আইনটি ফিশিং ট্রলার মালিক, স্কিপার ও নাবিকদেরদের জন্য চরম হতাশাজনক। এ আইনে কোনো আত্মপক্ষ সমর্থন সুযোগ না রেখেই ১০ লাখ টাকা থেকে ২০ লাখ টাকা জরিমানা ও প্রয়োজন হলে জাহাজ বাজেয়াপ্ত করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে মেরিন ফিশারিজ ডিপার্টমেন্টকে। নাবিক ও স্কিপারদের হয়রানি ও জেল-জলুমেরও সুযোগ রাখা হয়েছে।

তিনি বলেন, আগামীকালের মধ্যে এ আইন বাতিলের বিষয়ে আশ্বাস না পেলে সমুদ্রে মাছ আহরণের সাথে যুক্ত ২৬০ ফিশিং ট্রলারের স্কিপার, মেরিন অফিসার ও নাবিকরা অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটে যেতে বাধ্য হবো।

এ আইন প্রত্যাহারের দাবিতে ইতোমধ্যে ৫ ডিসেম্বর হতে সকল ফিশিং ট্রলার সমুদ্রে মাছ আহরণ কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছেন বলে জানান তিনি।

এফভি তাশফিক ফিশিং ট্রলারের স্কিপার নোবেল দত্ত বলেন, নতুন আইনে ফিশিং ট্রলারের কারণে কোনো ফিশিং বুটের জাল ক্ষতিগ্রস্ত হলে জাহাজের স্কিপারকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানার পাশাপাশি দুই বছরের কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে আত্মপক্ষ সমর্থন করার কোন সুযোগ রাখা হয়নি।

তিনি বলেন, অনেক সময় দেখা যায় আমরা অনিচ্ছাকৃতভাবে কিংবা জাহাজ চলাচলের জায়গায় জাল ফেলে রাখার কারণে এ ধরণের দুর্ঘটনা ঘটে। সেক্ষেত্রে আমাদের কোনো বক্তব্য নেওয়ার পাশাপাশি প্রমাণ না দেখিয়েই এ ধরণের জরিমানা করছে মেরিন ফিশারিজ ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তারা। ইতোমধ্যে দুইটি ফিশিং ট্রলারকে এ আইনে জরিমানা করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন এক্স ক্যাডেট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ রশীদ আহমেদ, ক্যাপ্টেন মাহতাবউদ্দিন, মানিক হোসেন, ফয়েজুর রহমান, দোলন বড়ুয়াসহ সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।

Comments

The Daily Star  | English
Yunus meets Malaysian PM Anwar Ibrahim

Anwar Ibrahim to consider issue of Bangladeshi workers

Malaysian Prime Minister Anwar Ibrahim today promised to consider the issue of 18,000 Bangladeshi workers who missed a deadline to enter Malaysia saying that they need workers, but not "modern slaves"

4h ago