শান্তর ফিফটির পর সোহানের ঝড়
জেমকন খুলনাকে পেয়ে আবারও জ্বলে উঠল নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাট। তবে মিডল অর্ডারের ব্যর্থতায় পথ হারিয়ে ফেলেছিল রাজশাহী। শেষ দিকে নুরুল হাসান সোহানের ক্যামিওতে লড়াইয়ের পূঁজি পেয়েছে তারা।
ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে টস হেরে আগে ব্যাটিং পেয়ে ৫ উইকেটে ১৪৫ রান করেছে মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী। ৩৮ বলে ৫৫ রান করেন শান্ত। সোহান ২১ বলে ৩৭ রান করে অপরাজিত থাকেন। রান আটকে দেওয়ার কাজ দারুণভাবে করেছেন খুলনার বোলাররা। সাকিবের ৪ ওভার থেকে আসে কেবল ১৭ রান, হাসান মাহমুদ দেন মাত্র ১৬ রান। শুভাগত ২৫ রানে নেন ২ উইকেট।
দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট হারায় রাজশাহী। শুভাগত হোমের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন আনিসুল ইমন। অধিনায়ক শান্ত তাল পেয়ে যাওয়ায় পাওয়ার প্লে মন্দ যাচ্ছিল না তাদের। দ্বিতীয় উইকেটে রনি তালুকদারের সঙ্গে আসে ৪৩ রানের জুটি।
আক্রমণাত্মক ব্যাটসম্যান রনি এদিন ছিলেন নিষ্প্রভ। ১৭ বল খেলে ১৪ রান করে হাঁসফাঁস করে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। বাজে ফর্মের জন্য মোহাম্মদ আশরাফুলকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। চারে তাই পাঠানো হয় শেখ মেহেদী হাসানকে।
যে পরিকল্পনায় তাকে উপরে তোলা তা একেবারেই মেটাতে পারেননি। দ্রুত রান বাড়ানোর বদলে ধুঁকতে থাকেন এই ব্যাটসম্যান। আসে একের পর এক ডট বল। চাপ সরাতে গিয়েই আত্মাহুতি তার। ১৫ বলে ৯ রান করে মেহদী ক্যাচ দিয়েছেন শহিদুল ইসলামের বলে।
মাহমুদউল্লাহর বলে ৫৩ রানে পয়েন্টে জীবন পেয়েছিলেন শান্ত। কাজে লাগাতে পারেননি। আর ২ রান যোগ করে ডিপ মিড উইকেটে।
ফজলে মাহমুদ রাব্বি ফেরেন শুভাগত স্পিনে। হুট করেই যেন পথহারা হয়ে যায় রাজশাহী। তাদের আবার পথে আনেন নুরুল হাসান সোহান। জাকের আলির মন্থর ব্যাটিংয়ের বিপরীতে শেষ দিকটা তার ব্যাটেই ভরসা পায় রাজশাহী। আল-আমিন হোসেনের করা ১৯তম ওভারে ২টি করে চার-ছয়ে আসে ২২ রান।
তবে শেষ ওভারটি আবার দারুণ করেন হাসান মাহমুদ। মাত্র ৩ রান আসে ওই ওভার থেকে। ফলে দেড়শো স্পর্শ করতে পারেনি শান্তর দল।
মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী: ২০ ওভারে ১৪৫ (শান্ত ৫৫, আনিসুল ১, রনি ১৪, শেখ মেহেদী ৯, ফজুলে মাহমুদ ৯ , নুরুল ৩৭, জাকের ১৫ ; আল-আমিন ১/৩৫, শুভাগত ২/২৫, সাকিব ০/১৬ , শহিদুল ১/৪৩, হাসান ০/১৬, মাহমুদউল্লাহ ১/৪)
Comments