হবিগঞ্জে ট্রেন লাইনচ্যুত: ২ তদন্ত কমিটি
হবিগঞ্জে ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনা তদন্তে দুইটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। একইসঙ্গে পরিত্যক্ত একটি লাইন মেরামত করার পর গতকাল রাত ১টা থেকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। মূল লাইনটি সংস্কারের কাজ চলছে।
ট্রেনের চালকরা বলছেন, আখাউড়া-সিলেট রেললাইনের হবিগঞ্জের মাধবপুরের শাহজীবাজারে ট্রেন দুর্ঘটনাটি মূলত স্টেশন মাস্টারের ভুলের কারণেই ঘটেছে। তবে, এই অভিযোগ অস্বীকার করে শাহজীবাজার স্টেশন মাস্টার মোজাম্মেল হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আপাতত একটি পরিত্যক্ত লাইন মেরামত করে রাত ১টায় ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে। এ ছাড়া, মূল লাইনটি সংস্কারের কাজ চলছে।’
তিনি বলেন, ‘বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তাকে প্রধান করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি এবং বিভাগীয় প্রধান চিফ মেকানিক্যাল কর্মকর্তাকে প্রধান করে চার সদস্যের অপর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি দুটিকে আগামী তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।’
দুর্ঘটনাকবলিত ট্রেনের সহকারী চালক হামিদুর আহমেদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘রেললাইনের রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলছিল। কিন্তু, আমাদের কোনো নোটিশ বা সিগনাল দেওয়া হয়নি। ফলে ট্রেনটি এক নম্বর লাইন দিয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও ইঞ্জিন অটোমেটিক দুই নম্বর লাইনে চলে যায়। এ ছাড়া, বগি চলে যায় এক নম্বর লাইনে। যে কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।’
গতকাল দুপুর ১২টার দিকে হবিগঞ্জের মাধবপুরে শাহজীবাজার রেলস্টেশনের দুই শ গজ দক্ষিণে সিলেটগামী মালবাহী ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়। সে সময় ট্রেনের বগিতে আগুন ধরে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
এদিকে ট্রেনের ৪টি তেলবাহী বগি লাইনচ্যুত হয়ে পড়লে স্থানীয়রা তেল সংগ্রহ করতে ভিড় করেন। কারও হাতে বালতি, কারও হাতে পাতিল, কারও হাতে জগ, আবার কারও হাতে ছিল প্লাস্টিকের বড় গামলা। সবাই এসব পাত্রে জ্বালানি তেল সংগ্রহ করে বাড়ি নিয়ে যান।
আরও পড়ুন:
তেলবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত, সিলেট-ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে রেল যোগাযোগ বন্ধ
Comments