ইয়র্কার ছাড়াও আরও অস্ত্র মজুদ নটরাজনের
বেশিদিন আগের কথা নয়। তামিল নাড়ুর বিভিন্ন গ্রামে টেপ টেনিসের ‘খেপ’ খেলে বেড়াতেন থাঙ্গারাসু নটরাজন। তার ইয়র্কার মারার দক্ষতা দ্রুতই ছড়িয়ে পড়ে রাজ্যে। তামিল নাড়ু প্রিমিয়ার লিগে আলো ছড়িয়ে জায়গা আইপিএলে। এরপরের ধাপে বিশাল স্বপ্নপূরণ। ভারতীয় দলের হয়েও এই বাঁহাতি রাখছেন বিস্ময়কর অবদান।
ক্যানেবারা আর সিডনিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুই টি-টোয়েন্টি খেলে ফেললেন। দলের জয়ে তাতে দারুণ অবদান তার। প্রথম ম্যাচে ৩০ রান নিয়ে নিয়েছিলেন ৩ উইকেট। পরের ম্যাচে উইকেট পেয়েছেন দুটি। তবে ওই ম্যাচেই করেছেন সেরা বোলিং।
দুই দল মিলিয়ে এদিন রান এলো প্রায় চারশো। সব বোলারই খেলেন মার। কিন্তু নটরাজনকে মারা গেল না। ৪ ওভার বল করে মাত্র ২০ রান দিয়েছেন তিনি। আউট করেছেন ডর্সি শর্ট আর মোজেস হেনরিকসকে।
সহজাত ক্ষমতায় কেবল ইয়র্কার নয়। গতির বৈচিত্র্যে স্টিভেন স্মিথদের পর্যুদস্ত করেছেন।অসিরা বিনা উইকেটে ৪৬ রান তুলার পর বল হাতে পেয়েছিলেন নটরাজন।
কাটার মারতে দেখা গেছে তাকে। স্লোয়ারে ছিল দেখিয়েছেন বৈচিত্র্য। তার স্লোয়ার বাউন্সারগুলো পিক করা বেশ কঠিন হচ্ছিল ব্যাটসম্যানদের।
অস্ট্রেলিয়ার ১৯৪ পেরিয়ে জিততে গিয়ে ২২ বলে ৪৪ রানের ঝড়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন হার্দিক পান্ডিয়া। তবে এই অলরাউন্ডার বলছেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার পাওয়া উচিত ছিল নটরাজনেরই, ‘আমি পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানেই তাকে বলছিলাম। আমার মনে হয় ম্যাচ সেরার পুরস্কার তার পাওয়া উচিত ছিল। কিন্তু তারা বলছে শেষ পর্যন্ত এটা ব্যাটসম্যানদের খেলা হয়ে গেছে।’
‘সবার ইকোনমি যখন অনেক বেশি। সেই মূলত অস্ট্রেলিয়াকে কাবু করে রাখতে পেরেছে। এই ১০-১৫ রান বাঁচানো ম্যাচে তফাৎ করে দিয়েছে।’
ভারতীয় দলে নতুন বৈচিত্র্য নিয়ে এসেছেন ২৯ পেরুনো এই বাঁহাতি পেসার। মোহাম্মদ শামীর মতো অভিজ্ঞ পেসারও তার কারণে একাদশে বাইরে।
Comments