এবার ফুটবল-ক্রিকেটের শুভ পরিণয়
কদিন আগে জাতীয় দলের নারী ক্রিকেটার সানজিদা ইসলাম বিয়ে করেন রংপুরের বিভাগীয় দলের ক্রিকেটার মীম মোসাদ্দেককে। ক্রিকেটার দম্পতির পর এবার ফুটবল-ক্রিকেটের প্রেমের বন্ধনেরও দেখা পাওয়া গেল। জাতীয় ফুটবল দলের ফরোয়ার্ড মাহবুবুর রহমান সুফিল বিয়ে করেছেন নারী ক্রিকেটার জিন্নাত আসিয়া অর্থীকে।
বগুড়ায় সোমবার অনুষ্ঠানের আগে বর-কনে যান শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে। সেখানে নানান আয়োজনে নারী ক্রিকেটাররা তাদের সংবর্ধনাও দেন।
সিলেটের সুনামগঞ্জের ছেলে সুফিল বাংলাদেশ জাতীয় দলের সেরা তারকাদের একজন। কদিন আগেই নেপালের বিপক্ষে জয়সূচক দারুণ এক গোল করে আলোচনায় এসেছিলেন তিনি। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচেও প্রথম একাদশে একমাত্র স্ট্রাইকার হিসেবে খেলেন সুফিল। ওই ম্যাচ খেলেই কাতার থেকে ফিরে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরেছেন তিনি।
বগুড়ার মেয়ে অর্থী ক্রিকেট খেলেন রাজশাহী বিভাগের হয়ে। প্রিমিয়ার লিগে ঢাকা মোহামেডানের হয়ে খেলতে দেখা গেছে তাকে। জাতীয় ইমার্জিং দলের ক্যাম্পেও ডাক পেয়েছিলেন অর্থী।
দুজনের পরিচয়ের সূত্রপাত বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি)। সেখানে পড়ার সময়েই পরিচয়। যা এক সময় গড়ায় প্রেমে। পরিবারের সম্মিতে যা পেল কাঙ্খিত পরিণয়ও।
সোমবার সন্ধ্যায় বগুড়ার ম্যক্স মোটেলে ঘরোয়া পরিবেশে হয় তাদের বিয়ের অনুষ্ঠান। দুই পরিবারের সদস্য ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বগুড়ার বেশ কয়েকজন নারী ক্রিকেটার।
বিয়ের এই আয়োজনে উপস্থিত থাকা জাতীয় ক্রিকেটার রিতুমনি দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, ক্রীড়া জুটির বিয়ে বলেই তা তাদের কাছে ভিন্ন মাত্রার, ‘ক্রিকেট এবং ফুটবলের এই যুগলকে বেশ চমৎকার দেখলাম। খুব অল্প সময়েও দুজনের অন্ত্যমিল অনেক ভালো।’
পরিচয়, প্রেম আর পরিণয়ের গল্প জানিয়ে কনে অর্থী সবার শুভাশিস চেয়েছেন, ‘আমাদের প্রথম পরিচয় হয় বিকেএসপির বন্ধুদের মাধ্যমে প্রায় তিন বছর আগে। এর পরে ধীরে ধীরে আমাদের সম্পর্ক আরো গভীরতা লাভ করে। অনেক আগে থেকেই বিয়ের কথা চলছিল কিন্তু সুফিলের ব্যস্ততার কারণে বিয়ে করা সম্ভব হয়নি। সম্প্রতি আমার বাবা অসুস্থ হওয়ায় বিয়ে করতে হল করোনার মধ্যে।’
ফুটবলার সুফিলও দোয়া চেয়েছেন সবার কাছে, ‘অনেকদিন হল আমরা একটা সম্পর্কে আবদ্ধ। দুইজনের মধ্যে বিয়ের জন্য একটি প্রতিশ্রুতি ছিল। আজ সেই প্রতিশ্রুতি পূর্ণ হল বিয়ের মাধ্যমে। আমাদের নতুন জীবনের জন্য দোয়া এবং শুভকামনা চাই সবার কাছে।’
Comments