বর্তমান সরকার মৌলবাদকে উসকে দিচ্ছে: ফখরুল
বর্তমান সরকার মৌলবাদকে উসকে দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, মৌলবাদের উত্থানের পেছনে যদি কারো হাত থাকে, তবে সেটা আওয়ামী লীগেরই আছে।
আজ মঙ্গলবার সকালে ঠাকুরগাঁও শহরের কালীবাড়ি এলাকায় নিজ বাসভবনে গণমাধ্যমকে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সব সময় বিএনপির ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে, বিএনপিকে নিঃশেষ করার ছুতো খুঁজে বেড়ায়। এটা নোংরা রাজনীতি, এতে দেশেরই ক্ষতি হচ্ছে। বিএনপি’র সঙ্গে মৌলবাদের কোনো সম্পর্ক নেই। বিএনপি ধর্মীয় স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে।
তিনি বলেন, কথা নেই, বার্তা নেই গ্রামের মধ্যে জঙ্গি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে। সেখানে তাদের বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এগুলো সব সাজানো। বাংলাদেশে কোনো জঙ্গি আছে বলে আমি মনে করি না। তবে মৌলবাদ আছে আর আওয়ামী লীগই মৌলবাদকে প্রশ্রয় দিচ্ছে, উসকে দিচ্ছে।
এক প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, ভাস্কর্য নিয়ে এই মুহূর্তে আমার কথা বলার ইচ্ছে নেই। এই মুহূর্তে আমাদের কাছে বড় ইস্যু হচ্ছে গণতন্ত্র। যা আমার অধিকার। সাংবিধানিক এই অধিকারকে প্রতিষ্ঠিত করাই আমার কাছে বড় কথা। দেশে গণতান্ত্রিক সরকার না থাকায় অস্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশকে নিরাপদ মনে করছে না। এর পেছনের কারণ হলো, দেশের পরিবেশ বিনয়োগবান্ধব নয়। যারা বাইরের দেশ থেকে ব্যবসা করতে আসেন, তাদের গ্যাস-বিদ্যুৎ সংযোগ পেতে ঘুষ দিতে হয়। সরকারি দলের লোকজনকে চাঁদা দিতে হয়। এসবের নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
সম্প্রতি দেশের ছয়টি চিনিকল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ব্যক্তি মালিকানা থেকে জাতীয়করণ করার পর ব্যবস্থাপনায় সমস্যা দেখা দেয়। করোনা পরিস্থিতিতে শ্রমজীবী মানুষের এক অংশ বেকার হয়ে পড়ছে। এ সময় চিনকল শ্রমিক ও আখ চাষিদের অনিশ্চিয়তার দিকে ঠেলে দেওয়ায় প্রভাব সামগ্রিকভাবে উত্তরাঞ্চেলের অর্থনীতির ওপর বেশি করে পড়বে। অর্থনীতির জন্য এটি মঙ্গলকর নয়— বলেন তিনি।
বন্ধ মিলগুলো চালু করার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, কৃষিতে অবশ্যই ভর্তুকি দেওয়া উচিত। একইসঙ্গে কৃষিভিত্তিক শিল্পগুলোকে ভর্তুকির আওতায় এনে চালু রাখা জরুরি।
দেশের মানুষ এখন ভোট দিতে পারে না। কথা বলতে পারে না। লিখতে পারে না। হত্যা মামলায় প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানের নামে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। সংগ্রাম পত্রিকার বৃদ্ধ সম্পাদক এখনো কারাগারে। এগুলোর একটাই মাত্র উদ্দেশ্য সাংবাদিকদের ভায়-ভীতি দেখানো। তারা যেন সত্য কথা না লেখেন— বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এ সময় ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক ফয়সল আমীন, সহসভাপতি আল মামুন আলম ও নূর-ই-শাহাদাত স্বজন, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শরীফ, যুবদলের সভাপতি চৌধুরী মাহেবুল্লাহ আবুনুর উপস্থিত ছিলেন।
Comments