শরিফুল-মোস্তাফিজের ঝাঁজের পর শুভাগতর ঝড়
যে উইকেটে দিনের ম্যাচে দুদল মিলিয়ে হয়ে গেল ৪৪১ রান। এলো ২৮ ছক্কা। সেখানে শিশিরের ভেজা মাঠে বড় রানই ছিল প্রত্যাশা। কিন্তু খুলনার ব্যাটসম্যানরা এমন উইকেটেও ধুঁকলেন। তাদের কাবু করে ঝাঁজ দেখালেন শরিফুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান। শেষ পর্যন্ত শুভাগত হোমের কার্যকর এক ঝড়ে দেড়শো পার করেছে তারা।
বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের বিপক্ষে ৯ উইকেটে ১৫৭ রান করে জেমকন খুলনা। নয়ে নামা শুভাগতই করেন সর্বোচ্চ রান। ১৪ বলে ৩২ করে দলকে লড়াইয়ের পূঁজি এনে দেন তিনি।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে খুলনার ব্যাটসম্যানদের মধ্যে পাওয়া গেল না আগ্রাসন। প্রায় পুরোটা সময় যেন ধুঁকলেন তারা। দুই ওপেনার খুব একটা ঝড়ো আনতে পারলেন না। জুটিও টিকল না বেশি।
দুই ওপেনারকে ফেরান শরিফুল ইসলাম। তার বাউন্সারে কাবু ১৫ বলে ১৫ করা জাকির হাসান। ১৯ বলে ২৬ রান করে জহুরুল ইসলামও দেন সহজ ক্যাচ।
নিজের ব্যাটিং পজিশন নিয়ে চরম দ্বিধায় থাকা সাকিব এদিন আবারও এলেন তিনে। তবে লাভ হলো না। তার আগে অদ্ভুতুড়ে এক সিদ্ধান্ত কাজে লাগেনি খুলনার। প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা মাশরাফি মর্তুজাকে তারা পাঠিয়ে দিল চারে। মাশরাফি এক রান নিয়ে কিছুটা দুর্ভাগ্যজনক রান আউটে কাটা।
সাকিব ধুঁকলেন, ভীষণ বাজে বলে এক ছক্কা পেয়েছিলেন। সেটাই হয়ে থাকল সম্বল। আরও একটি ব্যর্থতার দিনে ১৬ বলে করলেন ১৫। মোসাদ্দেক হোসেনের বলে পুল করতে গিয়ে ধরা দিলেন লং অনে। সাত ম্যাচ খেলে এই তারকা একবারও করতে পারলেন না ১৫ রানের বেশি।
মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে ইমরুল কায়েস পান ৪৩ রানের জুটি। তবে দ্রুত রান আনার দাবি মেটাতে পারছিলেন না তিনি। বাড়ছিল চাপ। মোস্তাফিজকে পুল করে সেই চাপ সরাতে গিয়ে উঠিয়ে দেন সহজ ক্যাচ। ২৩ বলে ২৪ রানে থামে ইমরুলের ইনিংস।
যিনি দ্রুত রান পাচ্ছিলেন সেই মাহমুদউল্লাহ ফেরেন খানিক পর। শরিফুলের বলে এগিয়ে গিয়ে খেলতে গিয়ে বিপাকে পড়েন। হাফবলি হয়ে যায় ইয়র্কার। বোল্ড হয়ে থামেন ১৭ বলে ২৬ করা খুলনা অধিনায়ক। শামীম পাটোয়ারি আর আরিফুল হকও পারেননি শেষের ঝড় তুলতে। মোস্তাফিজের ফুলটস বল মিস করে এলবিডব্লিও হন শামীম। আরিফুল জিয়াউর রহমানের বলে ক্যাচ দেন শর্ট থার্ড ম্যানে। শামীম করেন ৫ বলে ৫, আরিফুল ৯ বলে ৬।
মনে হচ্ছিল দেড়শোর নিচেই আটকে যাচ্ছে খুলনা। তা হতে দেননি শুভাগত হোম। নয় নম্বরে ব্যাট করতে গিয়ে মাত্র ১৪ বলে ৬ চার, ১ ছক্কায় ৩২ করেন তিনি। মোস্তাফিজের শেষ ওভার থেকেই নেন ১৪ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
জেমকন খুলনা: ২০ ওভারে ১৫৭/৯ (জহুরুল ২৬, জাকির ১৫, সাকিব ১৫ , মাশরাফি ১, ইমরুল ২৪, মাহমুদউল্লাহ ২৬ , আরিফুল ৬, শামীম ৫ , শুভাগত ৩২*, হাসান ০, আল-আমিন ০* ; নাহিদুল ০/২১ , রাকিবুল ০/২৩, শরিফুল ৩/৩৪ , মোসাদ্দেক ১/২৩, মোস্তাফিজ ২/৩৬)
Comments